অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সফরে শেখ হাসিনাকে মোদির আমন্ত্রণ

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সফরে শেখ হাসিনাকে মোদির আমন্ত্রণ

আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফরের জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ওই আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের দালিয়ান সফরের সময় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডাব্লিউইএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লস সয়াব প্রধানমন্ত্রীকে আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লিতে ডাব্লিউইএফের সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান। সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি সেশনে শেখ হাসিনার অংশ নেওয়ার বিষয়েও সে সময় আলোচনা হয়। এরপর দুই দেশের আগ্রহ ও যোগাযোগের ভিত্তিতে সফরটি এখন দ্বিপক্ষীয় রূপ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিবেশী দুই দেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে জ্বালানি খাত, বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ প্রকল্প কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়। কারণ এ প্রকল্পের খরচ তুলনামূলক কম।’ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক গত পাঁচ বছরে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। বিভিন্ন খাতে দুই দেশের বোঝাপড়া ও সম্পৃক্ততাও বেড়েছে। তিনি দুই দেশের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ এবং মানুষে মানুষে যাতায়াত সহজীকরণের ওপর জোর দেন। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের খাত বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদশ ও ভারতের মধ্যে রেল, সড়ক ও আকাশপথে যোগাযোগের অনেক রুট উন্মুক্ত হয়েছে।’ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমত্কার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয়ভাবে অনেক সমস্যা সমাধান করেছে। স্থল সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। ভারতের সংসদের সব দল স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসংক্রান্ত বিলকে সমর্থন করেছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারে। ভারতকে বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সময় থেকেই বাংলাদেশকে ভারত সহযোগিতা দিয়ে আসছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা : ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিন দিনের সফরে গত সোমবার রাতে ঢাকায় আসার পর গতকাল সকালে ঢাকায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও জাদুঘর পরিদর্শনের পর পরিদর্শক বইয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে অংশীদার হতে পেরে ভারত গর্বিত।’ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি গত রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। আজ বুধবার সকালে তিনি ঢাকা থেকে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস গ্রিড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পূর্ববর্তী

বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস গ্রিড প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব

৪৫ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৬৬৭০ হাজি পরবর্তী

৪৫ ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৬৬৭০ হাজি

কমেন্ট