অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে

অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে অজগরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে অজগরের তা দেওয়া ডিম বাচ্চা ফুটতে শুরু করেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর একে একে ১০টি বাচ্চা পৃথিবীর আলো দেখেছে। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তের দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবুর বাগান থেকে ১৯৯৯ সালে অজগরটি উদ্ধার হওয়ার পর চতুর্থ দফায় গত ৯ জুন রাতে অজগরটি ৩২টি ডিম দেয়। ডিম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অজগরটি নিজেকে বৃত্তাকারে গুটিয়ে ডিম ঢেকে তা দিতে শুরু করে। এর আগে ওই অজগরটি প্রথম ২০০২ সালের মে মাসে ৩২টি ডিম দেয়। ডিম পাড়ার ৫৯ দিন পর ২৮টি বাচ্চা ফুটেছিল। ২০০৪ সালের ১৩ মে ৩৮টি ডিম দেয়। সেবার ৬০ দিন পর বাচ্চা ফুটেছিল ৩২টি। সর্বশেষ ২০১১ সালের মে মাসে ৩০টি ডিম দেয়। তখন ডিম থেকে বাচ্চা হয়নি। বুধবার বেলা ২টায় বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখা যায়, ডিম থেকে বের হওয়া বাচ্চাগুলো একটির ওপর আরেকটি কিলবিল করছে। মা অজগরটি বাচ্চাগুলোর নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন। কৌতূহলী মানুষের উপস্থিতিতে মা অজগরটি তেড়ে আসছে। ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, ডিমগুলো ফুটতে আরো সময় লাগবে। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সীমান্তে দিনারপুর পাহাড়ের একটি লেবু বাগান থেকে এই অজগরটি উদ্ধার করা হয়। তখন থেকে একটি পুরুষ অজগরের সংগে এটি তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এর আগে যতগুলা বাচ্চা ফুটেছে তা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। নাওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফারা ও বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ এর মতে, এটি বার্মিজ পাইথন যার বৈজ্ঞানিক নাম python molurus. এই অজগরের আকার ও বয়সের ওপর নির্ভর করে তার ডিমের সংখ্যা। বয়স ও আকার যত বাড়বে ডিমের সংখ্যাও বাড়বে। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় অজগরের বাচ্চা ফুটলে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়। এই সাপের ১০৭টি পর্যন্ত ডিম দেওয়ার রেকর্ড আছে। মার্চ থেকে জুন মাসে এরা ডিম দেয়। ডিম ফুটতে প্রায় ৬০ দিন সময় লাগে। আমাদের দেশে এই প্রজাতির সাপ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বনে এবং সুন্দরবনে দেখা যায়। পাখি থেকে বড় হরিণ, ছাগল সবই তার খাদ্য তালিকায় আছে বলে তিনি জানান।
৫০ বছর পর ফিরে এলো সাগরে ভাসানো বোতলবন্দি চিঠি পূর্ববর্তী

৫০ বছর পর ফিরে এলো সাগরে ভাসানো বোতলবন্দি চিঠি

ব্যক্তিত্ব জানতে চান? আঙুল দেখুন পরবর্তী

ব্যক্তিত্ব জানতে চান? আঙুল দেখুন

কমেন্ট