অবৈধ ভিওআইপি অভিযানে ৪২ হাজার সিম উদ্ধার

অবৈধ ভিওআইপি অভিযানে ৪২ হাজার সিম উদ্ধার

ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলাধীন আবাসিক ২৬টি স্থাপনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র‌্যাব) সমন্বয়ে বিগত ১৪ অক্টোবর হতে ১ নভেম্ববর পর্যন্ত পরিচালিত অবৈধ ভিওআইপি অভিযানে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের ৪২ হাজার ১৫০টি সিম ও প্রায় ১ কোটি ২৩ লক্ষাধিক টাকা মূল্যমানের অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ২৪ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের উধ্বর্তন কর্মকর্তা, অভিযানে সম্পৃক্ত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে সংশ্লিষ্ট-আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ) ও বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরসের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করা হয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন। তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপি নিয়ন্ত্রনে প্রায়শই চলে বিটিআরসির অভিযান। কিন্তু তবুও কমছে না এই ব্যবসা। তাই অপারেটররা ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে যদি সিম বিক্রির ক্ষেত্রে এখনি সংযত না হয় তাহলে অপারেটরদের সামনে কঠিন আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখী হতে হবে এবং তাদের কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না। জহুরুল হক বলেন, আমি কাউকে দোষী করে বলছি না। কিন্তু প্রতিনিয়ত একটা ভিওআইপি বন্ধে বিটিআরসির যে পরিমাণ লোকবল থেকে শুরু করে এফোর্ট দিতে হয় তার থেকে যদি অপারেটররা দায়িত্ব নিতো তাহলে দেশের রাজস্ব এর পাশাপাশি অপরাধও কমে আসতো। মামলা পরিচালনা নিয়ে র‍্যাব-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, ভিওআইপির অভিযোগে যেসব মামলা হয় তার আর কোন খোঁজ থাকে না। এতে করে অপরাধীরা দ্রুতই আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যায়। তাই মামলার বাদি যদি বিটিআরসির পাশাপাশি অপারেটররা হয় তাহলে সেটা মনিটরিং করা সুবিধা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১৪-১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি, তেজগাঁও, কদমতলী, সিদ্ধিরগঞ্জ, পল্লবী ও মিরপুর এবং ২১-৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, পাঁচলাইশ, বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, সদরঘাট ও হালিশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল অপারেটর রবির ১৬ হাজার ৮১২টি, টেলিটকের ১৫ হাজার ৯৩৯টি, বাংলালিংকের ৬ হাজার ১৭৬টি, গ্রামীণফোনের ৩ হাজার ২২৩টি সিমসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ১৫০টি সিম জব্দ করা হয়। এছাড়া অবৈধ ভিওআইপি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের সিম পোর্ট বিশিষ্ট সর্বমোট ১৪৮টি জিএসএম (সিমবক্স) গেটওয়ে, দুই হাজার ৬৭৭টি মডেম ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক মালামাল জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ২৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। এ বিষয়ে জড়িত থাকায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট থানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১–এর অধীনে ২৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিটিআরসি তাঁর চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আধুনিক ও আর্ন্তজাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় বর্তমানে এ সংক্রান্ত অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সিমবক্সের সু-নিদির্ষ্ট স্থান (পিন পয়েন্ট) সনাক্তকরণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। যার ফলে সাম্প্রতিক অভিযানগুলোতে অতীতের চেয়ে অধিকতর সফলতা অর্জিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিটিআরসি বলছে, উক্ত অভিযানগুলো থেকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ঢাকা ও চট্টগ্রামের অপারেশনে যে পরিমাণ অবৈধ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে এর মাধ্যমে দেশের বাৎসরিক ৮৬৭ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হত।
১ ঘন্টায় আলিবাবার বিক্রি ৮৩,৭৯১ কোটি টাকা! পূর্ববর্তী

১ ঘন্টায় আলিবাবার বিক্রি ৮৩,৭৯১ কোটি টাকা!

ভোটদানে নিরুৎসাহিত করায় ১০ হাজার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ পরবর্তী

ভোটদানে নিরুৎসাহিত করায় ১০ হাজার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

কমেন্ট