অব্যাহতির আবেদন দেননি কেন: খালেদা জিয়া

অব্যাহতির আবেদন দেননি কেন: খালেদা জিয়া

নাইকো দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আইনজীবীদের কাছে জানতে চেয়েছেন, মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির আবেদন দেননি কেন? মঙ্গলবার পুরান ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষে আইনজীবীদের কাছে তিনি এ বিষয়ে জানতে চান। তখন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তাকে জানান, সব ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তারা তার অব্যাহতির আবেদন করবেন। এদিন বেলা ১২টা ৪০মিনিটে খালেদা জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে হাজির করে কারা কর্তৃপক্ষ। এর দুই মিনিট পর বিচারক এজলাসে উঠলে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য আছে। খালেদা জিয়া ছাড়া সকল আসামির চার্জ শুনানি শেষ হয়েছে। গত তারিখে তারা চার্জ শুনানি করতে সময় নিয়েছেন। তারা শুরু করলে আমরা মামলাটির কার্যক্রম শেষ করতে পারব। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার আমরা মামলাটি মূলতবি রাখার জন্য, জব্দ করা আলামতের কপি না পাওয়ার কারণে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে এ মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে, যেভাবেই সম্পৃক্ত করা হোক তার কাগজ আমাদের দাখিল করা হয়নি। আপনি আদেশ দেওয়ার পরও কপি পাওয়া যায়নি। কাগজ ছাড়া প্রস্তুতি নিতে পারছি না। আদালত নকল শাখাকে নির্দেশ দিলে কাগজ পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তখন মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, চার্জ শুনানি করতে চার্জ শুনানির আলামত লাগে? আর যেসব পেপার ছিল তা দিয়ে দিয়েছি। খালেদা জিয়া ছাড়া সবাই শুনানি শেষ করেছেন। চার্জ শুনানি হোক, চার্জ গঠন হওয়ার পর তারা ওই কাগজ পাবেন। তার আগেই তারা কাগজ চাচ্ছেন। তাছাড়া আগেও তারা চার্জ শুনানি করেছেন। এখন তারা মামলা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। তখন বিচারক মাসুদ তালুকদারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, চার বছর ধরে চার্জ শুনানি চলছে। এতদিনেও আপনারা আবেদন করেননি কেন? আর যে আবেদন দিয়েছেন তা নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আমি তো দেশের সর্বোচ্চ কোর্ট না, আমি সবকিছু করতে পারি না। খালেদা জিয়ার মামলা তৈরিতে গোজামিল আছে। সেজন্য তাদের কাগজপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন মাসুদ তালুকদার। এরপর বিচারক মাসুদ তালুকদারের কাছে জানতে চান, তারা খালেদা জিয়ার পক্ষে চার্জ শুনানি করবেন কি না। তখন তিনি বলেন, কাগজ পেলে আমরা শুনানি করব। এরপর খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, এটা একটা গ্রাউন্ডলেস মামলা। কাগজগুলো পেলে আমরা তা দেখাব। এজন্য শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন তিনি। তখন মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এটা গ্রাউন্ডলেস মামলা না। অন্যরা শুনানি করেছে। তারা শুনানি করতে চাচ্ছেন না। মামলাটি ১২ বছরের। মামলা বিলম্বিত করার জন্য তারা শুনানি করছেন না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ এপ্রিল পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য করেন। চার্জ শুনানি করতে ব্যর্থতায় আদেশ দিবেন বলে জানান তিনি। আর জব্দ করা আলামতের কপির আবেদন নামঞ্জুর করেন। এদিন জার্মানিতে চিকিৎসাধীন মওদুদ আহমদের পক্ষে সময় চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আর মামলার আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার, নারায়ণগঞ্জ অথবা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দিবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে লক্ষ্মীপুরের কারাগার থেকে আদালত হাজির করা হয়। এরপর বেলা ১টা ২৫মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে মামলার শুনানি চলাকালে খালেদা জিয়াকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে কথা বলতে দেখা গেছে।
বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিলীন হয়ে যাবে: তোফায়েল আহমেদ পূর্ববর্তী

বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিলীন হয়ে যাবে: তোফায়েল আহমেদ

'ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে অন্যরা জয়ী হতে পারতো না' পরবর্তী

'ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে অন্যরা জয়ী হতে পারতো না'

কমেন্ট