আইনজীবীকে বাসায় ডেকে আপত্তিকর ভিডিও, আটক ৪

আইনজীবীকে বাসায় ডেকে আপত্তিকর ভিডিও, আটক ৪

ফরিদপুরে এক আইনজীবীর (৪২) সঙ্গে নারীর আপত্তিকর ছবি তুলে ও ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করা প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব। গত সোমবার রাতে সালথা উপজেলার ফুকরা ও ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, গত সোমবার স্থানীয় একজন আইনজীবী র‌্যাব ক্যাম্পে এসে লিখিত অভিযোগ করেন, একজন ভুক্তভোগী তাঁর নামে হওয়া একটি মামলা পরিচালনা করতে আলোচনার জন্য বাসায় যেতে বলেন। আইনজীবী তাঁকে তাঁর চেম্বারে আসতে বলেন। বিষয়টি গোপনীয় ও পারিবারিক উল্লেখ করে চেম্বারে আলোচনা করা সম্ভব নয় বলে আইনজীবীকে তাঁর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী। আইনজীবী সরল বিশ্বাসে তাঁর বাসায় যান। তখন ওই বাসায় ভুক্তভোগী ছাড়াও আরো একজন নারী উপস্থিত ছিলেন। পরে ওই বাসায় হঠাৎ চারজন যুবক লোহার রড, চাপাতিসহ প্রবেশ করে এবং জোরপূর্বক একজন নারীর সঙ্গে আপক্তিকর ছবি তুলে রাখে। পরে সেই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনা ওই আইনজীবী ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পে জানিয়ে সহায়তা চান। র‌্যাব বিষয়টির ছায়াতদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় চারজনকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, এ ঘটনার সঙ্গে ফরিদপুরের সালথার মো. ফিরোজ মল্লিক (২১), সালথার ময়েনদিয়ার পারভীন আক্তার সাথী (২৭), সালথার তুঘলদিয়ার মো. রবি হাসান রানা (১৯) ও ঢাকার আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার লাবিবা আক্তার (২১) জড়িত। তারা ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর মহল্লার ফয়সালের বাসায় ভাড়া থাকে। ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক দেবাশীষ কর্মকার বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সালথা উপজেলার ফোকরা গ্রাম থেকে মো. ফিরোজ মল্লিক ও পারভীন আক্তারকে এবং ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুরে ভাড়া বাসা থেকে মো. রবি হাসান রানা ও লাবিবা আক্তারকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, তারা একটি প্রতারক চক্র। কখনো প্রেমের অভিনয়, কখনো কাজের কথা বলে তারা বিভিন্ন সময় পুরুষদের বাসায় ডেকে আনে। তাদের অন্য সহযোগীরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে কোতোয়ালি থানায় চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেছেন ওই আইনজীবী। এ মামলায় দুই নারীসহ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে সিনহার বোনের মামলা পূর্ববর্তী

টেকনাফ থানার ওসিসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে সিনহার বোনের মামলা

টিকটক অপু কারাগারে, রিমান্ড নাকচ পরবর্তী

টিকটক অপু কারাগারে, রিমান্ড নাকচ

কমেন্ট