আকিজের তামাক ব্যবসা কিনে নিল জাপান টোব্যাকো

আকিজের তামাক ব্যবসা কিনে নিল জাপান টোব্যাকো

প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা কিনে নিচ্ছে জাপান টোব্যাকো (জেটি) গ্রুপ। এটিই বাংলাদেশে জাপানের বৃহত্তম বিনিয়োগ বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস। জাপানের জেটি গ্রুপ ও বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপ গতকাল সোমবার এ নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ওই চুক্তির আওতায় জাপান টোব্যাকো এ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম টোব্যাকো কম্পানিকে প্রায় ১২ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার বিনিময়ে অধিগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১৫১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এই অধিগ্রহণের মাধ্যমেই জাপানি গ্রুপটি বাংলাদেশে নতুন করে প্রায় ১৪৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশ দূতাবাস আরো জানায়, এই বিনিয়োগ বর্তমান সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির প্রতি জাপানি ব্যবসায়ীদের আস্থার একটি সুস্পষ্ট প্রতিফলন। ব্যবসার অনুকূল পরিবেশের পাশাপাশি দেশের সবল অর্থনীতি ও দক্ষ জনশক্তিও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেছে। ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ গ্রুপের চেয়ারম্যান এস কে নাসির উদ্দিন, আকিজ গ্রুপের এমডি এস কে বাশির উদ্দিন, আকিজ গ্রুপের সিএফও শামসুদ্দিন আহমেদ, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও এডি পিরার্ড, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালের জেনারেল ম্যানেজার ম্যাক্স লোভাচেভ, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয়। বাংলাদেশের সিগারেট বাজার বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম এবং এর ২০ শতাংশ আকিজের দখলে রয়েছে। বাংলাদেশের সিগারেট বাজারের বার্ষিক উৎপাদন ৮৬ বিলিয়ন ইউনিটেরও বেশি এবং প্রতিবছর এটি ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চুক্তির ফলে জেটি গ্রুপের মোট উৎপাদনে আরো ১৭ বিলিয়ন ইউনিট যুক্ত হলো। আকিজ বর্তমানে ভ্যালু এবং বেস সেগমেন্টে দেশে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশে সিগারেটের বাজারে ৯০ শতাংশে এর উপস্থিতি রয়েছে। আকিজের ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে নেভি এবং শেখ উল্লেখযোগ্য। জেটিআই প্রেসিডেন্ট এবং সিইও এডি পিরার্ড বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির একটি এবং ব্যবসাবান্ধব মানসিকতার অধিকারী হওয়ার কারণে আমরা দেশটিতে আমাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করার জন্য আগ্রহী। আকিজ গ্রুপের তামাক বিভাগ লাভজনক, এর রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উৎপাদন ব্যবস্থা, একটি শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এবং কর্মীবাহিনী। আমাদের শক্তিশালী রেকর্ডের সঙ্গে একত্রিত করে সুপ্রতিষ্ঠিত পোর্টফোলিওর পাশাপাশি আমরা আমাদের কার্যকরী দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারি এবং আকিজের ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি আমাদের কিছু ফ্ল্যাগশিপ ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি।’ ২০১৮ সালের অর্থবছরের তৃতীয় চতুর্থাংশের মধ্যে লেনদেনটি অনুমোদন সাপেক্ষে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, জাপান টোব্যাকো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১৩০টি দেশে প্রায় ৬০ হাজার কর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা পরিচালনা করছে।
চলতি অর্থ বছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন ডলার পূর্ববর্তী

চলতি অর্থ বছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ বিলিয়ন ডলার

যুগের সবচেয়ে বড় ধনকুবের বেজস পরবর্তী

যুগের সবচেয়ে বড় ধনকুবের বেজস

কমেন্ট