আদিতমারীতে ইউএনও-উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আদিতমারীতে ইউএনও-উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এ দ্বন্দ্বের জেরে একজন আকেকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনছুর উদ্দিনের সঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ ফারুকের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ওই উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন কাজ সম্পাদন নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল। গত ১২ নভেম্বর উপজেলা পরিষদে একটি সমন্বয় সভা চলাকালীনে এ দুজনের মধ্যে বিরোধ বেধে যায়। আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ফারুক বিধিমালা না মেনে নিয়মবহির্ভূতভাবে পরিষদের বিভিন্নকাজ ও প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা ও চাপ প্রয়োগ করে আাসছিলেন। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা চলাকালীন বেলা সাড়ে ১২টায় ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতায় তালিকা চেয়ারম্যানের অংশ বলে দাবি করেন। এতে মতবিরোধ দেখা দিলে শুরু হয় বাগ্বিতণ্ডা, ফলে পণ্ড হয়ে যায় সভা। পরে ওই দিনই বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনছুর উদ্দিন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাকে (১৭ জন) সঙ্গে নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক মো. আবু জাফরের কাছে উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ ছাড়া গত রোববার তিনি (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদিতমারী) আদিতমারী থানায় জীবননাশের হুমকিসহ এসব বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। এদিকে আদিতমারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ ফারুক শনিবার বিকেলে তার বাসভবন চত্বরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারি পরিপত্র না মেনে এবং উপজেলা চেয়ারময়ানের সঙ্গে সমন্বয় না করে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করছেন। এ ছাড়া এসব বিষয়ে অভিযোগ এনে উপজেলা চেয়ারম্যান রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনছুর উদ্দীনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েশ ফারুক সময় সংবাদকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনছুর উদ্দীন তার অফিসের বিভিন্ন দফতরের ১৭ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগটি তদন্তে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন জেলা প্রশাসক। লালমনিরহাট জেলা প্রসাশক জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
‘বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় রেহেনাকে হত্যা করে প্রেমিক’ পূর্ববর্তী

‘বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় রেহেনাকে হত্যা করে প্রেমিক’

ঢাকা মহানগর আদালতে এজলাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী

ঢাকা মহানগর আদালতে এজলাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে

কমেন্ট