আরো বাড়বে গরমের তীব্রতা
১৭ এপ্রিলের পর দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে উচ্চচাপ বলয়। ফলে দখিনা বাতাসও নেই। বৃষ্টির পাশাপাশি দখিনা বাতাস না থাকায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিগত বছরগুলোতে বৈশাখের এই সময়ে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহ চললেও এবার সারা দেশেই গরমের উত্তাপ। এ বছরের মধ্যে গতকাল তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৬ সালে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উঠেছিল। টানা দুই বছর পর ফের মৃদু তাপপ্রবাহে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জনজীবনে চলছে হাঁসফাঁস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এই মাসের শেষ অবধি চলবে রোদের এমন তেজ। এমনকি আজ তাপমাত্রা আরো বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছর বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ এপ্রিলের চতুর্থ সপ্তাহে তাপমাত্রা ছিল গড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ এ বছর সেটি গড়ে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গত বছর এই সময়ে প্রচুর বৃষ্টিও হয়েছিল। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালেও ছিল একই চিত্র। এ সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল ওই বছর। কিন্তু এ বছর ১৭ এপ্রিলের পর থেকে দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি। এ মাসের মধ্যে বৃষ্টির আর সম্ভাবনাও দেখছেন না আবহাওয়াবিদরা। ফলে জনজীবনে যে হাঁসফাঁস চলছে, তা আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, এই মাসের শেষের দিকে সিলেটসহ বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে বৃষ্টি হবে। তবে এটি হবে খুবই কম। নিম্নচাপের প্রভাবে ৩ মে থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে। তার আগ পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ চলবে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, এ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গতকাল রাজশাহীতে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাতে গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ফরিদপুর, ফেনী, যশোর, টাঙ্গাইলসহ আবহাওয়া অফিসের সব স্টেশনের তথ্য বলছে, ওই সব স্টেশনে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁইছুঁই। আজ সেটি আরো বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মাসের শেষের দিকে বৃষ্টি না হলেও আগামী মাসের শুরুর দিকে হতে পারে। তার আগ পর্যন্ত মৃদু তাপপ্রবাহ থাকবে।
এদিকে তপ্ত রোদে অস্বস্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ। বৈশাখের এই গরমে ছাতা মাথায় নেমেছে অনেকে। কদর বেড়েছে জুস শরবতের। প্রচণ্ড গরমে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। জরুরি কাজ ছাড়া অনেকে বাসা থেকে বের হচ্ছে না।
কমেন্ট