ইইউয়ের কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চায় বাংলাদেশ

ইইউয়ের কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চায় বাংলাদেশ

ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ) কাছে জিএসপি-প্লাস সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ইইউ বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং রফতানি বাজার। ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ প্রকল্পের আওতায় ইইউ’র দেয়া বাণিজ্য সুবিধায় বাংলাদেশ উপকৃত হয়েছে। এজন্য ইইউ’র কাছে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। গত অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহে বাংলাদেশ ২ হাজার ২০০ কোটি ডলাররে পণ্য রফতানি করেছে, যা মোট রফতানির প্রায় ৫৮ শতাংশ। এরপরও আমরা ইইউ’র কাছে জিএসপি প্লাস সুবিধা চাই। রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ষষ্ঠ ইইউ-বাংলাদেশ বিজনেস ক্লাইমেট ডায়ালগ’ অনুষ্ঠিত হয়। এ ডায়ালগে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশ পক্ষে সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনসহ ২০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংকসহ জার্মানি, নেদারল্যান্ড. ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং ইতালির রাষ্ট্রদূতসহ ৪১ জন প্রতিনিধি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা থাকলেও অন্য কাজ থাকায় তিনি তা করতে পারেননি। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনেসি তেরিংক উপস্থিত ছিলেন। বানিজ্যমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন,বাংলাদেশ ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এর তিন বছর পর বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধাগুলো আর পাবে না। আমাদের আশা, এ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা দেবে। তিনি জানান,প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে, আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এর কার্যক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে সবকিছু করে যাচ্ছে এবং বাণিজ্য সহজীকরণ বিশ্ব র্যাংদকিংয়ে আট ধাপ এগিয়ে এসেছে বলে বৈঠকে বানিজ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। সংলাপ ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও যেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস নামে বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া ষষ্ঠ সংলাপে বাণিজ্য সম্প্রসারণে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রীর দেয়া লিখিত বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য করতে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিত করে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই এ ডায়ালগের উদ্দেশ্য। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ বৈঠক নিয়মিত হবে। ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। এতে করে উভয় পক্ষই উপকৃত হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২২ তারিখ এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাঁচটি সেক্টরে কাজ করার জন্য পাঁচটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো- কাস্টমস, ফার্মাসিটিকেলস, ট্যাক্স, ফাইনান্সিয়াল ফ্লোস এবং বিনিয়োগ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ বাণিজ্য পরিধি আরও বাড়াতে আগ্রহী। এজন্য উভয় পক্ষ কাজ করছে। আগামী দিনগুলোতে ইইউয়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
বেগম রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ নারী পূর্ববর্তী

বেগম রোকেয়া পদক পেলেন পাঁচ নারী

বিপিএলের শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী

বিপিএলের শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

কমেন্ট