ইউটিউব ভিডিও দেখে এ কি করলো কিশোরী!

ইউটিউব ভিডিও দেখে এ কি করলো কিশোরী!

ইউটিউবের একটি আইটেম দেখে মেয়েটি বিশ্বাস করে ফেলে যে মানুষ মারা গেলে আবার জীবিত হয়। অর্থাৎ আত্মা বেড়িয়ে যাবার পর ফের তা দেহে প্রবেশ করানো যাবে। এ ঘটনা প্রমাণ করে যে চতুর্দিকে যুক্তিসঙ্গত বিজ্ঞানভিত্তিক এতসব প্রগতিশীল চিন্তা ও আবিষ্কার সত্ত্বেও কিছু মানুষ অন্ধবিশ্বাসকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে। অনেক সময় এমন প্রাণঘাতী বিশ্বাস দ্বারা তাড়িত হয় কোমলমতি শিশু-কিশোররাও। ঘটনা দুনিয়ার কোনো অজপাড়াগাঁয়ের নয়। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ভোইভারা এলাকায় বেপরোয়া অন্ধবিশ্বাসের জের ধরে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে এক কিশোরী। অভিভাবকরা জানায়, ১৪ বছর বয়সী তাদের মেয়েটি ইউটিউবে প্রায়ই অ্যাস্ট্রাল ট্রাভেল নামের একটি চ্যানেল দেখতো। ভিডিও দেখে দেখে তার বিশ্বাস জন্মায় যে আত্মা শরীর থেকে বের করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়। একপর্যায়ে নিজের এই সর্বনাশা ধারণা হাতে কলমে প্রমাণ করার জন্য নিজেকেই গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু নিজের আত্মাকে শরীর ফেকে বের করে দিতে পারলেও তা নিয়ে আর ফিরে আসতে পারেনি সে। পুলিশ তার সেলফোন থেকে বেশকিছু ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই ধরনের ভিডিও তাকে আত্মঘাতী ওই পরীক্ষায় পরিচালিত করে থাকতে পারে। হিন্দি মিডিয়া জনসত্তা.কম জানায়, 'চূড়ান্ত সাফল্য' অর্থাৎ সর্বনাশী কাণ্ডটা ঘটিয়ে ফেলার আগের সপ্তাহেও সে একবার অমন অপচেষ্টা চালিয়েছিল। সেবার মাটিতে শুয়ে বিশেষ কায়দায় স্বাস নেওয়া বন্ধ করে রেখেছিল সে। এটা দেখে অভিভাবকরা তাকে বাধা দেয় এবং বিষয়টির অসারত্ব বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরের সপ্তায় সে তার ‌কাজে যাতে কেউ বাধা দিতে না পার তাই বাথরুমে ঢুকে ফাঁসিতে লটকে দেয় নিজেকে। ফাঁসিতে লটকে যাবার পর সে বাঁচার চেষ্টা করে। এসময় অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর পরিবারের সদস্যদের শোকে ভাসিয়ে মারা যায় সে। প্রসঙ্গত, গত বছরের জুনে ভারতে রাজধানী দিল্লির বুরারি এলাকার ১১ সদসস্যের একটি পরিবার গণআত্মহত্যা করে যা ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি করে। তদন্তে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ওই পরিবারটি গোপন আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে গণআত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ইউটিউবে ইতিবাচক আর দরকারি হাজারো ভিডিও বা চ্যানেলের ভীড়ে বিপজ্জনক এবং ক্ষতিকর চ্যানেলেরও কমতি নেই। পর্যবেক্ষক মহল মনে করছে এসব বিষয়ে অভিভাবকদের কড়া নজরদারির বিকল্প নেই।
দেখা গেছে নেকড়ে চাঁদ, তবে... পূর্ববর্তী

দেখা গেছে নেকড়ে চাঁদ, তবে...

রাশিফলে জেনে নিন কেমন যাবে আজকের দিনটি পরবর্তী

রাশিফলে জেনে নিন কেমন যাবে আজকের দিনটি

কমেন্ট