উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টমেটো-গাজর জুস

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে টমেটো-গাজর জুস

জীবনযাত্রায় উচ্চ রক্তচাপ যেন সাধারণ রোগে পরিণত হয়েছে। শুধু প্রবীণ নয়, অল্প বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। যদিও এখনো এ রোগের স্থায়ী নিরাময় পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি। তাই প্রতিকারে সচেতন হতে হবে আগে থেকেই। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও প্রতিদিনের নিয়ম মানা খাদ্যাভ্যাসই পারে এ থেকে রক্ষা করতে। অন্যদিকে, জাঙ্ক ফুড ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখাবে; এটাই স্বাভাবিক। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি অবস্থা, যেখানে ধমনির দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের ঘনত্ব খুব বেশি থাকে। ফলে রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয় এবং রক্তনালিগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তবে এটি স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়লে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। তবে আন্দের বিষয় হচ্ছে, প্রতিদিনকার ডায়েটে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করলে আপনি ভালো ফল পেতে পারেন। এ জন্য আপনার বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না। আপনার রান্নাঘরেই এমন অনেক ফল ও শাকসবজি আছে, যা হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ টমেটোর কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে কার্যকর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ১০০ গ্রামের টমেটোতে ২৩৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে, যা সোডিয়ামের খারাপ প্রভাবগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। টমেটো প্রায় প্রত্যেক ঘরেই থাকে। যেহেতু স্যুপ, সালাদ, তরকারিতে নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। গাজরও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, সি এবং কে-১-এ ভরপুর। টমেটো ও গাজর মিলে দারুণ জুস তৈরি করা যায়, যা সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবারের পর ভালো মানের পানীয়ের জোগান দেবে। সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। উপকরণ ১. টমেটো (মাঝারি আকারের, কাটা), একটি ২. গাজর (কাটা), একটি ৩. পুদিনা পাতা ছয়-সাতটি ৪. আদা (টুকরো করে কাটা), আধা চা চামচ ৫. লেবু (রসালো), অর্ধেক প্রস্তুত পদ্ধতি সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে রেখে মসৃণ হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। প্রয়োজনে পরিমাণমতো পানি ব্যবহার করতে পারেন। জুস হয়ে গেলে পরিবেশন করুন।
ডিম যেভাবে খেলে পুষ্টিও মিলবে, মেদও আটকাবে পূর্ববর্তী

ডিম যেভাবে খেলে পুষ্টিও মিলবে, মেদও আটকাবে

ক্যান্সার প্রতিরোধের ৫ উপায় পরবর্তী

ক্যান্সার প্রতিরোধের ৫ উপায়

কমেন্ট