উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটা ছোট পদক্ষেপমাত্র : ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটা ছোট পদক্ষেপমাত্র : ট্রাম্প

সম্প্রতি জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন যে নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করেছে তাকে ক্ষুদ্র পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একঘরে দেশটির নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার তুলনায় এটা কিছুই না বলেও অশনিসংকেত দিয়েছেন ট্রাম্প। এদিকে, চীনকেও সাবধান করে দিয়েছেন ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন মুচিন। তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞাগুলো চীন না মেনে চললে তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি ইউএস এবং আন্তর্জাতিক ডলারব্যবস্থায় প্রবেশেও বাধা প্রদান করা হবে তাদের। মার্কিন প্রশাসনের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর এই আনুষঙ্গিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিকে মূলত উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপকৃত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের নমুনা হিসাবে দেখা যায়। গত সোমবার জাতিসংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল উত্তরো কোরিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ভোট প্রদান করে। সেখানে টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিষেধাজ্ঞাক আরোপ করা হয়। আমেরিকার প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রতিশোধপরায়ন মনোভাব ও বেপরোয়া আচরণের প্রেক্ষিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে উত্তর কোরিয়ার ষষ্ঠ এবং বৃহত্তম নিউক্লিয়ার পরীক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে। দেশটির ব্যালাস্টিক মিসাইল এবং নিউক্লিয়ার কার্যক্রমের কারণে এবারেরটা নিয়ে নবমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। সিকিউরিটি কাউন্সিলের ১৫ সদস্যের কমিটি এই নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত ধারাগুলো তুলে ধরে। তবে আমেরিকার আরো শক্তপোক্ত নিষেধাজ্ঞার খসড়া চীনের সমর্থনলাভের জন্য কিছুটা হালকা করা হয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন এবং রাশিয়া। এরা দুজনই জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতা রাখে। এ কারণে উত্তর কোরিয়ার তেল রপ্তানির বিষয়টি পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ট্রাম্প রয়টার্সকে বলেছেন, এটা আরেকটি ছোট পদক্ষেপমাত্র। খুব বড় কোনো বিষয় নয়। আমি জানি না এর কোনো প্রভাব রয়েছে কিনা। তবে নিষেধাজ্ঞা পাসের ক্ষেত্রে কমিটির পূর্ণ ভোট লাভ আশাব্যঞ্জক বিষয়। তবে আমরা যে পদক্ষেপ নিতে চলেছি, তার কাছে নিষেধাজ্ঞা আরোপ অতি নগন্য বিষয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউএস এর অর্থনৈতিকব্যবস্থা থেকে চীনের ব্যাংকগুলোকে ছেঁটে ফেলা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, সব অপশন টেবিলে পড়ে রয়েছে। ট্রাম্প যেকোনো পদক্ষেপের সঙ্গে সকল দেশের সমর্থন ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছেন।
সিঙ্গাপুরে দুই জাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ২ পূর্ববর্তী

সিঙ্গাপুরে দুই জাহাজের সংঘর্ষ, নিহত ২

ফের দাদা হলেন ট্রাম্প পরবর্তী

ফের দাদা হলেন ট্রাম্প

কমেন্ট