একজন ফেরারি আসামিকে কেন বিএনপির চেয়ারপার্সন করতে হলো: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় কারাগারে যাওয়ার পর দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার কেউ কি বিএনপির গঠনতন্ত্র দেখেছেন? সেখানে দলীয় চেয়ারপাসনের অনুপস্থিতে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে ভারপ্রাপ্ত করার কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু যাকে করা হয়েছে তিনিও একজন ফেরারি আসামি।
‘তাদের দলে (বিএনপিতে) কি এমন কেউ নেই যে যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যায়? কাউকেই পাওয়া গেলো না। শেষ পর্যন্ত একজন ফেরারি আসামিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করতে হলো?
এসময় নিজ দলের গঠনতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমিতো এমন করিনি। আমি জিল্লুর রহমান সাহেবকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করেছিলাম। আমিতো পারতাম শেখ রেহানাকে (বোন), আমার ছেলেকে (সজীব ওয়াজেদ) করতে। কিন্তু করিনি।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় সাম্প্রতিক ইতালি সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষে এক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনটি সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর মধ্যে প্রথমেই বাংলাদেশ ফোর-জি’র যুগে প্রবেশের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আগামী মার্চে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং সবশেষ যুক্তরাজ্যের কার্গো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর দেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদও জানান।
বাংলাদেশ এখন বিশ্বমানবতার দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি এবার পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে ভ্যাটিকান সিটিতে গিয়েছিলাম। সেখানে তার সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার প্রশংসার পাশাপাশি, ১০ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বমনবতার দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
চারদিনের ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটি সফর শেষে দেশে ফিরে সোমবার বিকালে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
‘‘এবারের সফরে আমি পোপকে বলেছি,‘কফি আনান কমিশনের প্রস্তাব মেনে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। আগামী বর্ষার আগেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন শুরু করতে হবে। এরপাশাপাশি মিয়ানমারের তাদের জন্য নিরাপদ জায়গার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পরও যেনো রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা চালিয়ে যাওয়া হয় সেজন্য বিশ্ব খাদ্য সংস্থাকে অনুরোধ করেছি।’’
সফরে ইফাদের সঙ্গে দেশের উত্তর-পূর্বের ৬ জেলার ২৫ উপজেলার গ্রামীণ পিছিয়ে পড়া মানুষের অবকাঠামো ও বাজার উন্নয়নে ৯২ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করার কথা উল্লেখ করেন।
কমেন্ট