এবার কক্সবাজারের ১৩০৯ পুলিশকে একযোগে বদলি

এবার কক্সবাজারের ১৩০৯ পুলিশকে একযোগে বদলি

কক্সবাজার জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পর এবার নিম্নস্তরের কর্মকর্তাসহ সব কনস্টেবলকে একযোগে বদলির আদেশ এসেছে। জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার (এসপি) থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত বদলি হওয়া পুলিশের জনবলের এই সংখ্যা প্রায় এক হাজার ৪০০ হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারে নতুন যোগ দেওয়া এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান। মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, আজ শুক্রবার জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলসহ এক হাজার ৩০৯ জনের বদলির আদেশ এসেছে। পুলিশ সদর দপ্তর ও পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। অবশিষ্ট যাঁরা থাকবেন, তাঁদেরও পর্যায়ক্রমে বদলির আদেশ আসবে বলে জানিয়েছেন হাসানুজ্জামান। এ প্রসঙ্গে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। আর এ জন্য কক্সবাজারে দায়িত্ব পালন করা শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত সবাইকে বদলি করা হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, আজ শুক্রবার পর্যন্ত এই বদলির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৪৭ জনে। এর মধ্যে রয়েছেন এসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আটজন শীর্ষ কর্মকর্তা, আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩৪ পরিদর্শক, ১৫৮ এসআই, ৯২ এএসআই, এক হাজার ৫৫ জন নায়েক ও কনস্টেবল। সবাইকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের বাইরে ভিন্ন রেঞ্জে বদলি করা হচ্ছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বদলি করা হয়েছে জেলার আট থানার ওসিসহ ৩৪ পরিদর্শককে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বদলি হওয়া শূন্য পদ পূরণে আজ চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন আট থানার ওসিসহ ৩৭ পুলিশ পরিদর্শক, ৮৫ এসআই-এএসআই ও ৭৩৪ জন কনস্টেবল। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশে সম্পূর্ণ নতুন জনবল যোগদান করবেন। এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারে এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেনকে রাজশাহীর এসপি হিসেবে বদলি করা হয়। আর ঝিনাইদহের এসপি মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নবাগত এসপি গত বুধবার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এসপি মাসুদ হোসেন কক্সবাজার থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার বদলি করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) অপর সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে। গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা পুলিশকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর, এমনটিই ধারণা করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ারের করা হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ ১১ পুলিশ জেলহাজতে রয়েছেন।
নেগেটিভকে করোনা রোগী বানিয়ে লাশ আটকে বিল আদায়ের অভিযোগ পূর্ববর্তী

নেগেটিভকে করোনা রোগী বানিয়ে লাশ আটকে বিল আদায়ের অভিযোগ

ঘরে ঢুকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার পরবর্তী

ঘরে ঢুকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

কমেন্ট