এশিয়া কাপে আজ মুখোমুখি হংকং-পাকিস্তান

এশিয়া কাপে আজ মুখোমুখি হংকং-পাকিস্তান

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠেছে এশিয়া কাপের। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপে দুর্দান্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। আজ মাঠে নামবে ফেবারিট পাকিস্তান। তাদের প্রতিপক্ষ আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ হংকং। বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে তারা এশিয়া কাপের এবারের আসরে জায়গা করে নিয়েছে। তাদের মতো সহযোগী একটি দেশের জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলাটা একটি মাইলফলক। অবশ্য হংকংয়ের অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড় পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত। এবার তারাই পাকিস্তানকে ‘আপসেট’ উপহার দিতে প্রস্তুত। এশিয়া কাপ এই অঞ্চলের ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর জন্য তৃতীয় কোনো বড় টুর্নামেন্ট। প্রতিপক্ষ হংকং হলেও সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দেওয়ার সুযোগ হংকং এর সামনে। সহযোগী এই দেশটির শক্তিমত্তার জায়গা স্পিন বোলিং। তাদের বোলারদের স্পিন যদি দুবাইরের শুকনো উইকেটে ধরে তাহলে পাকিস্তানের জন্য সমস্যা হতে পারে। নাদিম আহমেদ হংকংয়ের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিবেন। তিনি ২০০২ ও ২০০৮ এশিয়া কাপে হংকংয়ের হয়ে খেলেছিলেন। তবে এবারের হংকং দলটি তরুণদের নিয়ে গঠিত। এই দলটির অধিনায়ক আনশি রাথ এর বয়স ২০ বছর। তার পাশাপাশি আরো দশজন আছেন এই স্কোয়াডের যাদের বয়স ২৪ এর নিচে। এই টুর্নামেন্টে হংকং-ই একমাত্র দল যাদের অধিনায়কের বয়স ৩০ এর কম। হংকং এর বোলিং আশা জাগালেও দুশ্চিন্তার নাম ব্যাটিং। তাদের ব্যাটিংয়ের গভীরতা আরো কমে গিয়েছে মার্ক চ্যাপম্যান হংকং ছেড়ে নিউজিল্যান্ড দলে যোগ দেওয়ায়। হয়তো আরব আমিরাতে বাছাইপর্বের ফাইনালে যে একাদশ নিয়ে হংকং খেলেছে সেই একাদশই আজ মাঠে নামাবে। ** হংকং ও পাকিস্তানের হয়ে যে ২২ জন খেলোয়াড় আজ মাঠে নামবেন তারা প্রথমবারের মতো একে অপরের মুখোমুখি হবেন। ২০০৪ এশিয়া কাপে দুটি দলের হয়ে খেলা দুজন খেলোয়াড় এবারের স্কোয়াডেও আছেন। পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ও হংকং এর নামিদ। ১৪ বছর আগে তারা দুজন কলম্বোতে মুখোমুখি হয়েছিলেন। পাকিস্তান প্রথম ব্যাট করে ৩৪৫ রান করেছিল। হংকং ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি। অবশ্য বৃষ্টি আইনে পাকিস্তান জয় পেয়েছিল ১৭৩ রানে। ** সংযুক্ত আরব আমিরাত পাকিস্তানের হোম ভেন্যু। এখানে ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর আর কোনো ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। সে কারণেই এবারের এশিয়া কাপ জয়ের ক্ষেত্রে হট ফেবারিট ভাবা হয় পাকিস্তানকে। যারা আরব আমিরাতে টানা আট ম্যাচ জিতেছে গেল তিন বছরে।
সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স পূর্ববর্তী

সিপিএলের চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স

ছিটকে পড়া তামিমের ফিরে আসার বীরত্ব পরবর্তী

ছিটকে পড়া তামিমের ফিরে আসার বীরত্ব

কমেন্ট