ওজন হ্রাসে সহায়ক সকালের নাস্তা

ওজন হ্রাসে সহায়ক সকালের নাস্তা

বলা হয়, দিনের শুরুর প্রথম খাবারটাই আসল খাবার। ভরপেট নাস্তা করলে গোটা দিন ভালো কাটবে। কিন্তু যারা ওজন কমানোর দৌড়ে সামিল হয়েছেন তারা চাইলেই যা মন চায় খেতে পারেন না। আবার দেহে পুষ্টি সরবরাহের কাজটিও সঠিকভাবে করতে হবে। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু প্রোটিনপূর্ণ খাবার আছে যা খেলে ওজন বাড়ে না। আবার তা প্রোটিনসমৃদ্ধ। কাজেই স্বাস্থ্য ভেঙে পড়বে না। এখানে সকালের সেরা কিছু নাস্তার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো খেলে ওজন নিঃসন্দেহে কমবে। ডিম অনেকেই ভাবেন ডিম খেলে বুঝি মুটিয়ে যাবেন। আসলে তা নয়। ডিম থেকে মেলে ১৩-১৫ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন। একটি ডিম থেকেই একবারে ১৫০ ক্যালোরির কম মেলে। যারা ওজন কমাতে খাদ্যাভ্যাস গঠনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন, তাদের ডিম খেতে বলা হয়। প্রোটিনের ভালো উৎস হওয়াতে ওজন কমাতে সহায়তা করে। এতে আছে ভিটামিন বি এবং ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং কপারের মতো খনিজ। ভিটামিন ডি-এ থাকা চোলিন দেহে চর্বি জমার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণের কাজটা বেশ সহজ হয়ে ওঠে। দানা জাতীয় খাবারের মিশ্রণ শস্যদানা বা বীজ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন আর খনিজ। ফাইবার থাকায় হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়। রক্তে চিনি মিশ্রণের প্রক্রিয়াকেও ধীরগতির করে দেয়। ফলে খিদে লাগে না অনেক সময় ধরে। কাউন এটাকে এমনিতেই সুপারফুড বলা হয়। দিনের প্রথমভাগে শক্তি চাইলে কাউনের চালের খাবার খেতে পারেন। এতে আছে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ আরো অনেক পুষ্টি উপাদান। কাউনের চাল ভাতের মতো রান্না করে খেতে পারেন। এ ছাড়াও কাউন ব্যবহার করতে পারেন সালাদ, সবজি কিংবা স্মুথিতে। বাদামের বাটার পিনাট বাটার নামেই বেশি পরিচিত। সুপারশপে মিলবে। এটা বেশ স্বাস্থ্যকর খাবার। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত পণ্যে অনেক বেশি চিনি এবং পরিশোধিত ভেজিটেবল ওয়েল থাকে। কিন্তু চিনাবাদাম ভেজে বাড়িতেই যদি বেটে নিতে পারেন, তবে স্বাস্থ্যকর পিনাট বাটার পাবেন। সকালের নাস্তায় পিনাট বাটার আর টোস্ট বিস্কিট কিন্তু ওজন কমানোর দারুণ খাবার। আবার পেটও ভরবে। এতে লবণ বা মধু মিশিয়ে স্বাদে ভিন্নতা আনতে পারেন। সকালের জন্যে দারুণ। ওটমিল আমাদের দেশে এই খাবারটি বেশ পরিচিতি পেয়েছে। ফাইবার আছে প্রচুর। কাজেই খাওয়ার পর পেট ভরা থাকে বহুক্ষণ। আবার ক্যালোরি অনেক কম। ফলে বেশি খেলেও ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এটা থেকে কার্বোহাইড্রেট বের হয় ধীরে ধীরে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা একলাফে বাড়ে না। সকালের নাস্তার জন্যে খুবই ভালো খাবার।
স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর থানকুনি পাতা পূর্ববর্তী

স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর থানকুনি পাতা

মধ্যরাতে খেতে মানা পরবর্তী

মধ্যরাতে খেতে মানা

কমেন্ট