কক্সবাজারে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

কক্সবাজারে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৪

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি ও পুলিশের সঙ্গে কথিত দুই বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকা ও আজ শনিবার ভোররাতে একই উপজেলার হোয়াইক্যং এলাকায় এ পৃথক 'বন্দুকযুদ্ধের' ঘটনা ঘটে। হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিহতের নাম মুসা আকবর (৩৬)। তিনি হোয়াইক্যং তুলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে। পুলিশের দাবি, নিহত চারজনই মাদক কারবারি। পৃথক দুই ঘটনাস্থল থেকেই অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-২ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খানের ভাষ্যমতে, শুক্রবার মধ্যরাতে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকা থেকে মাদকের চালান পাচার হতে পারে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে টহলদল সেখানে অবস্থান নেয়। এসময় ৪-৫ জন মাদক কারবারি নাফ নদী অতিক্রম করে মাদকের চালান নিয়ে আসছিল। বিজিবির টহলদল তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা বিজিবি সদস্যদের ওপর গুলি চালায়। বিজিবিও পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ তিন যুবককে উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ও দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ফয়সল হাসান বলেন, 'নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। এদিকে, শনিবার ভোররাতে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মুসা আকবর নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত মুসা হোয়াইক্যং তুলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে। তিনি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, মুসা মাদক কারবারি ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে ছয় হাজার ইয়াবা ও একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে।
করোনাভাইরাসের কথিত ওষুধ আবিষ্কারকের ছয়মাসের কারাদণ্ড! পূর্ববর্তী

করোনাভাইরাসের কথিত ওষুধ আবিষ্কারকের ছয়মাসের কারাদণ্ড!

মির্জাপুরে চার ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড পরবর্তী

মির্জাপুরে চার ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

কমেন্ট