কঠোর নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা তাজিয়া মিছিল, মানুষের ঢল

কঠোর নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকা তাজিয়া মিছিল, মানুষের ঢল

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা। কারবালার শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক ঘটনার দিনটি ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এ দিনটি বিশেষ পবিত্র দিবস। আশুরা উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে পুরান ঢাকার চানখাঁরপুল এলাকার হোসেনি দালান থেকে। পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শিয়া সম্প্রদায় এই ঐতিহ্যবাহী মিছিলের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ঘোড়া, কবুতর ও নিশানসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে হোসেনি দালান প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল। তাজিয়া মিছিল রাজধানীর জিগাতলা হয়ে ধানমন্ডি লেক এলাকায় শেষ হবে। এর আগে তাজিয়া মিছিলে অংশ নিতে সকাল থেকেই হোসেনি দালান এলাকায় জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলিমরা। হোসনি দালান ইমামবাড়ার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ নাকি আসলাম জানান, ৪০০ বছর ধরে পুরান ঢাকায় শোকের মাতম অর্থাৎ তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। কারবালায় ইমাম হোসেনসহ তার পরিবারকে হত্যার মধ্যদিয়ে যে বিষাদময় ঘটনা ঘটেছে ইতিহাসে তার পুনরাবৃত্তি হবে না। মিছিলে বিভিন্ন ধর্ম ও গোষ্ঠীর মানুষ অংশ নিয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কিছুটা ভিন্ন তাজিয়া মিছিল। এ বছর তাজিয়া মিছিলে ঢোল বাজিয়ে ছুরি, তলোয়ার ও লাঠিখেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মিছিলে অংশ নেয়া মোসলেম হোসেন নামে একজন জানান, অন্যান্য বছর মিছিলে পাইকরা অংশ নিত। এতে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হতো। দিনটির শোকার্ততা স্মরণ করে নিজেদের নিজেরাই আঘাত করে জর্জজরিত করত। কিন্তু এবার সেটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে এবার পাঞ্জাও করা যাবে না। যেটি মিছিলের একটা মূল উপাদান ছিল। তবে এতে কিছুটা মণক্ষুন্ন হলেও মিছিল উপলক্ষে নেয়া পুলিশের নিরাপত্তার তিনি খুশি। এদিকে তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে ইমামবাড়া এবং আশেপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সদা তৎপর রয়েছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণ পদ রায় সাংবাদিকদের বলেন, তাজিয়া মিছিল উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে তল্লাশি করে তবেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়। সে কারণে অনেকেরই ভেতরে ঢুকতে দেরি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেইন (রা.) ও তার পরিবার এবং অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন। যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারা দুনিয়ার মুসলমানরা এ দিনটি পালন করে।
হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৯৫ হাজার ১৫ হাজি পূর্ববর্তী

হজ শেষে দেশে ফিরলেন ৯৫ হাজার ১৫ হাজি

পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা পরবর্তী

পালিত হচ্ছে পবিত্র আশুরা

কমেন্ট