ক্যাম্পও শুরু করে দিচ্ছে ব্রাজিল

ক্যাম্পও শুরু করে দিচ্ছে ব্রাজিল

প্রাথমিক দল ঘোষণার ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দলই ঘোষণা করে দিয়েছেন তিতে। তাঁদের নিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক ক্যাম্পে আগামীকালই গ্রানজা কোমারির অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে যাচ্ছেন তিতে অ্যান্ড কোং। ক্যাসেমিরো ও মার্সেলো অবশ্য নিশ্চিতভাবেই থাকছেন না এই ক্যাম্পে, কারণ রিয়াল মাদ্রিদে খেলা এই দুই ব্রাজিলিয়ানের সামনে যে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। একই কথা প্রযোজ্য রবার্তো ফিরমিনোর বেলাতেও। বাকিদের নিয়েই সোমবার থেকে ক্যাম্প শুরু করবেন তিতে, যা চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। এরপরই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দল নিয়ে ইউরোপে দুটো প্রীতিম্যাচ খেলতে যাবেন তিতে। রিও ডি জেনেইরোর তেরেসোপোলিস শহরের গ্রানজা কোমারি এলাকায় ১৯৭৮ সালে বড়সড় একখণ্ড জমি কিনেছিল ব্রাজিলের ফুটবল ফেডারেশন। ১৯৮৭ সালে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প হিসেবে এখানে অবকাঠামো গড়ে তুলে কার্যক্রম শুরু করে সিবিএফ। ১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত, চারটি বিশ্বকাপে (২০০৬ বিশ্বকাপ বাদে) ব্রাজিলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এই গ্রানজা কোমারি থেকে। ২০১৪ বিশ্বকাপের আগে, প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার খরচ করে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটিকে নতুন করে সাজায় সিবিএফ। এবারও নেইমাররা পা রাখার আগে বেশ মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করেই পুরো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে তাদের উপযোগী করা হয়েছে। খেলা, প্রশিক্ষণ, অনুশীলনের নানা উপকরণ যেমন এখানে রয়েছে, তেমনি আছে বিনোদনেরও হরেকরকম আয়োজন। খেলোয়াড়দের অনুশীলন মাঠের সংখ্যাই পাঁচটি। মূল মাঠের পাশে শ দুয়েক দর্শকের খেলা দেখার মতো ছাউনি। পাঁচটি সেক্টরে বিভক্ত এই অবকাঠামোর প্রথম সেক্টরটা মূলত মাঠ, গাড়ি পার্কিং, দর্শনার্থী, সেবা প্রদানকারী...তাদের জন্যই বরাদ্দ। ভেতরে, মূল অংশে আছে খেলোয়াড়দের বাসস্থান, বিনোদনের জায়গা, সাঁতারপুল, খাবার খাওয়ার জায়গাসহ জিম ও চিকিত্সাকেন্দ্র। থাকার জন্য আছে ৩০টি সিঙ্গেল স্যুইট আর দুটি ডাবল স্যুইট। অত্যাধুনিক জিম, হেলথ ল্যাব; যেখানে শরীরচর্চা করবেন ফুটবলাররা আর তাঁদের শারীরিক সক্ষমতার বিচার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আছে ইনডোর সুইমিংপুল, তবে একপাশে কাচের দেয়াল থাকায় প্রকৃতির রূপ দেখতে অসুবিধে হবে না নেইমারদের। মাঠে আর জিমে ঘাম ঝরিয়ে, সাঁতারপুলে সাঁতার কেটে ক্লান্ত শ্রান্ত নেইমারদের বিনোদনের জন্যও আছে নানা ব্যবস্থা। দেয়াল জোড়া বিশাল টেলিভিশন আর প্লে স্টেশন ফোরে ‘প্রো-ইলেভেন সকার’ ফুটবল গেইম খেলার বন্দোবস্ত আছে। আরো আছে পোকার খেলার ব্যবস্থাও। থাকছে ‘ফুসবল’ বা হাতল টানা যন্ত্রে ফুটবল খেলায় মেতে ওঠার ব্যবস্থাও। চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত এখানেই অনুশীলন করবে বিশ্বকাপগামী ব্রাজিল দল। এখান থেকে তিতের দলের প্রথম গন্তব্য ইংল্যান্ড। ৩ জুন অ্যানফিল্ডে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল, এক সপ্তাহ পর ভিয়েনায় খেলবে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে। ১৭ জুন রোস্টভে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ব্রাজিলের ‘মিশন হেক্সা’। ‘ই’ গ্রুপে ব্রাজিলের আরো দুই প্রতিপক্ষ হচ্ছে কোস্টারিকা ও সার্বিয়া।
অবশেষে মোস্তাফিজ খেলেছেন পূর্ববর্তী

অবশেষে মোস্তাফিজ খেলেছেন

ইনিয়েস্তাকে বিদায় জানাল বার্সা পরবর্তী

ইনিয়েস্তাকে বিদায় জানাল বার্সা

কমেন্ট