গান পাগল দর্শকদের ভিড়ে মন্ত্রীরা

গান পাগল দর্শকদের ভিড়ে মন্ত্রীরা

রাত তখন পৌনে এগারোটা। আর্মি স্টেডিয়ামের মঞ্চে তখন পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল জুনুন। জুনুনের গানের সাথে গোটা স্টেডিয়ামের লক্ষাধিক শ্রোতা দুলছে। সে সময়ই ভিআইপি গেইট দিয়ে প্রবেশ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী সংসদ এবং সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানের সমাপনীতে অংশ নিতেই তাঁরা আসেন। কিন্তু গান পাগল ভিড়ের মধ্যে পড়েন আসাদুজ্জামান নূর ও পলক। এসময় তাদের প্রটোকল ও নিরাপত্তারক্ষীরাও ভিড় সরাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। জুনুন মঞ্চে ওঠার পর গানে এতোটাই মজে গেছে দর্শক-শ্রোতা যে ভিআইপি হাঁটা-চলার প্যাসেজটুকুও লোকজনে ভর্তি হয়ে যায়। এই প্যাসেজ দিয়ে মন্ত্রী ও ভিআইপিরা যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের প্রায়ই একইস্থানে ১৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তবে আসাদুজ্জামান নূর ও জুনাইদ আহমেদ পলকের মুখে বিন্দুমাত্র বিরক্তির চিহ্ন দেখা যায়নি। বরঞ্চ দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা দেখে তাঁরা আনন্দিতই হয়েছেন মনে হচ্ছিল। রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া লোক গানের উৎসবের গতকাল ছিল শেষ দিন। এদিন সন্ধ্যা থেকেই সঙ্গীতপ্রেমীদের ঢল নেমেছে আর্মি স্টেডিয়ামে। সন্ধ্যা থেকে জনসমাগম শুরু হতে থাকলেও রাত ১০টা পর্যন্ত বনানী থেকে বিমানবন্দর সড়কে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে বিশাল লাইন পড়ে যায়। ফোক ফেস্টের শেষদিনের সর্বশেষ পরিবেশনার জন্য মঞ্চে ওঠে বিশ্বজুড়ে পরিচিত সুফি ঘরনার ব্যান্ড জুনুন। জুনুনের সদস্যরা একে একে মঞ্চে উঠতেই চারিদিকে শুরু হয় তুমুল হর্ষধ্বনি৷ সাইওনি... গাইতেই এই গানের সুরের সঙ্গে দুলে ওঠে পুরো আর্মি স্টেডিয়াম। তরুণ প্রজন্মের নিকট অত্যাধিক জনপ্রিয় এই ব্যান্ড। দামাদামা মাস্ত কালান্দারের সময় সব বয়সীরা একই সঙ্গে কণ্ঠে এই গান। 'সিতারোছে', 'তুহি মেরা মওলা শাহী', 'মাট্টি মে মিল যায়েঙ্গে ভুলো না, তেরি জিন্দেগি, ইয়ার মেরা দিল নেহি লাগতা 'সহ একাধিক গান হায় বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডদলটি। জুনুনের সঙ্গে মেতে ওঠে এদিন আর্মি স্টেডিয়ামে সমবেত হওয়া লক্ষাধিক সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ। রাত ১২টায় সাঙ্গ হয় এ বছরের ফোক ফেস্টের আয়োজন।
ঐশ্বরিয়ার এই জ্যাকেট তৈরি করতে লেগেছে দুই বছর পূর্ববর্তী

ঐশ্বরিয়ার এই জ্যাকেট তৈরি করতে লেগেছে দুই বছর

অসুস্থতা সত্ত্বেও টানা ১৮ ঘণ্টা কাজ! পরবর্তী

অসুস্থতা সত্ত্বেও টানা ১৮ ঘণ্টা কাজ!

কমেন্ট