বিএনপির সময়ে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী
ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখুট আঘাতে নিহত বেড়ে ৬৬
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উঠে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ম্যাংখুট আঘাত হেনেছে ফিলিপাইন, চীন ও হংকংয়ে। এ পর্যন্ত ৬৬ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। আলজাজিরা জানিয়েছে, এর মধ্যে ফিলিপাইনেই মারা গেছেন ৬৪ জন। আর চীনে দুজন নিহতের তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্স।
ম্যাংখুট বর্তমানে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিজিটিএন। সেখানে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় বইছে।
চীনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংদং-এ ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভারি বর্ষণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে সরে যেতে হয়েছে।
ধীরে ধীরে এটি ‘গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে’ রূপ নিচ্ছে। সোমবার ভোর ৬টায় গুয়াংজি প্রদেশের হেংজিয়ান এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার দিনের মধ্যে এটি গুইজোউ, চংকিং ও ইউনান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
চীনা আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ ম্যাংখুটকে ‘ঝড়ের রাজা’ আখ্যা দিয়ে জানায়, সোমবার সকাল নাগাদ এর ফলে চলমান ভারি বর্ষণের পরিমাণ ১০০ থেকে ১৬০ মিলিমিটার (চার থেকে ছয় ইঞ্চি) পর্যন্ত হতে পারে।
চীনের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ১৯৪৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব চীনে আঘাত হানা ১০টি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের একটি হচ্ছে এই ম্যাংখুট। চীনে এর বাতাসের গতি পরিমাপ করা হয় ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার (১০০ মাইল)।
ফিলিপাইনে আঘাত হেনে তাণ্ডব চালিয়ে ৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটিয়ে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে বলে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভোরে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি রাজ্যসহ মূলত কাগায়ানে আঘাত হানে। এতে কৃষিনির্ভর ওই রাজ্যের হাজার হাজার ঘরবাড়িসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিপুল পরিমাণ ধান ও ভুট্টার ক্ষেত। ফিলিপাইনে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
কমেন্ট