চতুর্থবার পরীক্ষাতেও করোনা পাওয়া গেল কনিকার শরীরে

চতুর্থবার পরীক্ষাতেও করোনা পাওয়া গেল কনিকার শরীরে

চার নম্বর পরীক্ষাতেও কনিকার শরীরে কোভিড ১৯-এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যার কারণে উদ্বিগ্ন গায়িকার পরিবার, তাঁদের দাবি চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছেন না কনিকা। চার নম্বর পরীক্ষাতেও বলিউড গায়িকা কনিকা কাপুরের শরীরে পাওয়া গেছে করোনা ভাইরাস। ঘটনায় উদ্বিগ্ন কনিকার পরিবার। গত ২০ মার্চ থেকে লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বেবি ডল গায়িকা। ৯ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর ১১ মার্চ মুম্বাই থেকে কানপুর এবং তারপর লখনউ পৌঁছান গায়িকা। সেখানেই প্রথম সর্দি-কাশি এবং তারপর জ্বরে আক্রান্ত হন কনিকা কাপুর, এরপর ২০ মার্চ পরীক্ষায় কনিকার শরীরে মেলে কোভিড ১৯। ইনস্টাগ্রামে নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন কনিকা, কিন্তু সময় যতই এগিয়েছে গোটা বিষয় নিয়ে ততই রোষের মুখে পড়তে হয়েছে শিল্পীকে। করোনা কবলিত দেশ থেকে ফেরার পরেও হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে কেমনভাবে এক শহর থেকে অন্য শহরে ঘুরে বেড়ালেন কনিকা? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কনিকার চিকিত্সা চলছে লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিরক্ত কনিকার তারকাসুলভ আচরণে। বারবার তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, কনিকার উচিত একজন রোগীর মতো আচরণ করে, চিকিত্সকদের সঙ্গে সহযোগিতা করা। কনিকার পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ‘এবার আমরা সত্যিই কনিকা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে চিন্তিত। মনে হচ্ছে কনিকা চিকিত্সায় কোনওরকম সাড়া দিচ্ছেন না, আর লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে কনিকা এয়ারলিফট করে চিকিত্সার জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবকর নয়। আমরা শুধু ওর সেরে উঠবার জন্য প্রার্থনা করতে পারি’। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কনিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। লখনউয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে হোম কোয়ারেন্টিনে থেকে একাধিক সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আগেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮,২৬৯ এবং ২৭০ ধারা অনুসারে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে কনিকার বিরুদ্ধে।
করোনা মোকাবেলায় এক কোটি টাকা দিলেন দেব পূর্ববর্তী

করোনা মোকাবেলায় এক কোটি টাকা দিলেন দেব

কণিকাকে নিয়ে চিন্তিত উর্বশী পরবর্তী

কণিকাকে নিয়ে চিন্তিত উর্বশী

কমেন্ট