চালের দাম বেড়েছে, বেড়েছে মরিচের দামও

চালের দাম বেড়েছে, বেড়েছে মরিচের দামও

চালের দাম বেড়েই চলছে। ঢাকার ব্যবসায়ীরা এর দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন মিল মালিক ও সিন্ডিকেটের উপর। সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ চালের দাম ২-৫ টাকা বেড়েছে। মরিচের দামও অনেক বেড়েছে। তবে কিছুটা কমেছে নতুন ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরানবাজারে এমনই চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৮-৫০ টাকা। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৬ টাকা কেজি। বাসমতি চাল গত সপ্তাহে ছিল ৬৬ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। মিনিকেট গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৭-৫৯ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬২-৬৪ টাকা। নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে ৬৭ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। চালের দাম বাড়ার পিছনে কল মালিকদের হাত রয়েছে- দাবি করে কাওরানবাজারের আল্লার দান রাইছের মালিক আবদুল আওয়াল তালুকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে, আমরা সরকারকে বলেছিলাম চাল আমদানি করতে, সেটা করলে চালের দাম এভাবে বাড়তো না। প্রতিটি চালের দাম বেশি। দেশে পর্যন্ত পরিমাণ চাল উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু তারপরও চালের দাম বেশি। এটা হবে কেনো? চালের তো কোনো সংকট নেই। দাম বেশি দিলেই চাল পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে এই দাম বাড়াচ্ছে কারা? তার মানে যারা গুদামে চাল রেখেছেন তারাই চালের দাম বাড়াচ্ছেন। এদিকে সরকার নির্ধারিত ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে না। নতুন ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ ও ৪০ টাকা দরে। বেড়েছে ফুল ও বাঁধাকপির দাম। আকার ও বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫-৩০ টাকা পিস। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মরিচের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৯০ টাকার মধ্যে। কিন্তু এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। একই বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাইফুল মরিচের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমদানি বেশি ছিল, এ সপ্তাহে কম। তাই মরিচের দাম বেড়েছে’। মিশর থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি, দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, দেশি পুরাতন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া গাজর ৪০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ২০-২৫ টাকা কেজি, শালগম ২০ টাকা কেজি, কাচা টমেটো ২০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা কেজি, সিম ২০-২৫ টাকা এবং শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগীর দাম বাড়েনি। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৩০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে পাকিস্তানি জাতের মুরগী বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই ২২০ টাকা কেজি। দেশি জাতের মুরগী বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি, লাল কর্ক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে।
সীমান্তে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে যৌথভাবে টহল দেবে বিজিবি-বিএসএফ পূর্ববর্তী

সীমান্তে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে যৌথভাবে টহল দেবে বিজিবি-বিএসএফ

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৩ পরবর্তী

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ২০ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১৬৩

কমেন্ট