চুয়াডাঙ্গায় 'বন্দুকযুদ্ধে' শীর্ষ মাদক কারবারি নিহত

চুয়াডাঙ্গায় 'বন্দুকযুদ্ধে' শীর্ষ মাদক কারবারি নিহত

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে জেলার শীর্ষ মাদক কারবারি রুহুল আমীন (৪৮) নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলার উকতো গ্রামে দিবাগত রাত ২টার দিকে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ তিনজন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে পুলিশ। নিহত রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে। পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে একদল মাদক কারবারি উকতো গ্রামের মধ্যে দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টহল দল ওই এলাকার একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়। রাত দুইটার দিকে ৭/৮ জনের মাদক কারবারির একটি দল মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করছে। এ সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হলে মাদক কারবারিরা পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে মাদক কারবারিরা পিছু হটে। এ সময় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শীর্ষ মাদক কারবারি রুহুল আমীনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধের সময় মাদক কারবারিদের গুলিতে পুলিশের উপ-পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত রুহুল জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।
এবার স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যু পূর্ববর্তী

এবার স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ স্ত্রীর মৃত্যু

নুসরাত হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার পরবর্তী

নুসরাত হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেপ্তার

কমেন্ট