থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই
'জনগনের সেবা করতে গিয়েই আ’লীগ নেতাকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত'
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সদ্যপ্রয়াত নেতাদের রুহের মাগফেরাত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের আশু আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দলের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সুরক্ষা ও সহায়তা করার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যে কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাসহ বহু নেতাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে বরেণ্য নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, তারা জনগণের পাশে থেকে কাজ করছিলেন এবং তা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
বিএনপি নেতাদের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ আক্রান্ত হোক, সেটি আমরা কখনো কামনা করি না। বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন, আমরা এবং সব মানুষ যেন সুস্থ থাকে সেটিই আমরা কামনা করি। সেই সঙ্গে এটিও সত্য যে, যারাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ও তাদেরই আক্রান্তের আশংকা বেশি।
অপরদিকে বিএনপি নেতারা যারা হাতগুটিয়ে বসে আছেন, ঘরের মধ্যে থেকে প্রেস ব্রিফিং আর কিছু ফটোসেশনের মধ্যে কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রেখেছেন, জনগণের পাশে দাঁড়াননি, তাদের আক্রান্ত হবার আশংকা কম। তবে আমি সবসময় প্রার্থনা করি, বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে’ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যতটুকু আছে, সেই সামর্থকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টায় এখনো বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম মৃত্যুহারের দেশগুলোর একটি। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের সব উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। সুতরাং অর্বাচীনের মতো কথা না বলে তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই।
কমেন্ট