জিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির বন্ধের ইঙ্গিত চীনের

জিনজিয়াংয়ে বন্দিশিবির বন্ধের ইঙ্গিত চীনের

জিনজিয়াংয়ে মুসলমানদের নির্যাতনের জন্য যে বৃহৎ কারাগার নির্মাণ করেছিল চীন তা বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির এক কর্মকর্তা। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, জিনজিয়াংয়ের পশ্চিম অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক লোককে যাদের অধিকাংশই উইঘুর সম্প্রদায়ের, তাদেরকে আটক করে নির্যাতন চালাচ্ছে চীন। এ বিষয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে চীন দাবি করেছে এগুলো নির্যাতন শিবির নয়, বরং উইঘুরদের এসব শিবিরে ‘কারিগরি শিক্ষা’ দেওয়া হয়। জিনজিয়াংয়ের গভর্নর ও শীর্ষ উইঘুর কর্মকর্তা শোহার্ত জাকির জানিয়েছেন, চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে উইঘুর নীতি নিয়ে আইনপ্রণেতাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজন না হলে এই ‘প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো’ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। জাকির বলেন, ‘সার্বিকভাবে কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই কম। কোনোদিন আমাদের সমাজের এগুলোর প্রয়োজন না পড়লে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো হারিয়ে যাবে।’ জিনজিয়াং ও তিব্বত বিষয়ক গবেষক আদ্রিয়ান জেনজ বলেছেন,‘এই বিবৃতি এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে , বর্তমানে আটক বিপুল সংখ্যক লোককে মুক্তি দেওয়া হবে। এটাও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত যে, রাষ্ট্র বিশ্বাস করে পুনর্শিক্ষা প্রকল্প নিশ্চিতভাবে সফল হয়েছে।’ জেনজের মতে, বন্দিশিবিরগুলো সম্ভবত পুরোপুরি বন্ধ হবে না। শিবিরে ফেরত পাঠানোর হুমকি নিয়ন্ত্রণের আরেকটি হাতিয়ার।
রাশিয়ার আকাশসীমায় মার্কিন বিমান পূর্ববর্তী

রাশিয়ার আকাশসীমায় মার্কিন বিমান

লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন যারা পরবর্তী

লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন যারা

কমেন্ট