জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার রায় ২৯ অক্টোবর

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ২৯ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। আট বছর আগে দুদকের দায়ের করা এ মামলার শুনানি পর্বের সমাপ্তি ঘোষণা করে মঙ্গলবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান রায়ের এই দিন ঠিক করে দেন। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কয়েকটি ধার্য তারিখে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন না করায় বিচারের এ অংশটি বাদ দিয়েই রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য আদালতে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে রোববার কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার চালানোর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তার করা রিভিশন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। গত ২৭ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচারকাজ চলমান রাখার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি আবেদন দাখিল করা হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজা হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর ছাড়া আর একবারও আদালতে হাজির হননি খালেদা জিয়া। এ জন্য দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ব্যতিরেকেই বিচার চালিয়ে যাওয়ার আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি শেষে ২০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছাড়াই এ মামলার বিচার চলবে বলে আদেশ দেন আদালত। গত ৩০ জানুয়ারি এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ সাত বছর কারাদণ্ড দাবি করে দুদক প্রসিকিউশন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার অপর আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন সহকারী একান্ত সচিব (বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক) জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। মামলায় হারিছ চৌধুরী পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আর মনিরুল ইসলাম খান জামিনে ও জিয়াউল ইসলাম মুন্না কারাগারে আছেন।
বিকল্পধারা থেকে বি.চৌধুরী-মান্নান-মাহী বহিষ্কার! পূর্ববর্তী

বিকল্পধারা থেকে বি.চৌধুরী-মান্নান-মাহী বহিষ্কার!

ববি হাজ্জাজের দলের নিবন্ধন নিয়ে রায় রোববার পরবর্তী

ববি হাজ্জাজের দলের নিবন্ধন নিয়ে রায় রোববার

কমেন্ট