জীবিত নবজাতক হয়ে গেল মৃত, আরো দুজন গ্রেপ্তার

জীবিত নবজাতক হয়ে গেল মৃত, আরো দুজন গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ শহরে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগে পরশ প্রাইভেট হাসপাতালের আরো এক পরিচালক ও এক সেবিকাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনকে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন পরশ প্রাইভেট হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল কবীর, শফিকুর রহমান জনি ও আজাহার মাহমুদ জুয়েল ও জ্যেষ্ঠ সেবিকা অলিম্পিয়া। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ জানান, গত রোববার রাতে সদর উপজেলার কল্যাণপুর এলাকার হারুনুর রশিদ প্রসব যন্ত্রণায় ভুগতে থাকা তাঁর স্ত্রী জান্নাত বেগমকে শহরের কৃষ্টপুর এলাকায় পরশ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ১১টার পর অস্ত্রোপচারের (সিজার) মাধ্যমে জান্নাতের একটি ছেলেসন্তান হয় বলে দেখানো হয় স্বজনদের। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই মৃত সন্তান হয়েছে বলে উল্লেখ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুর বাবা দেখতে পান সন্তানের মুখ ও শরীর রক্তাক্ত এবং পিঠের চামড়া নেই। এসআই পলাশ বলেন, ‘সন্তানের মৃত্যুর বিষয়টি জানাতে সোমবার সকাল ৯টায় থানায় আসেন হারুনুর রশিদ। তিনি একটি অভিযোগ দেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করে দুই পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে এজাহার অনুযায়ী রাতে গ্রেপ্তার করা হয় অপর পরিচালক আজাহার মাহমুদ জুয়েল ও জ্যেষ্ঠ সেবিকা অলিম্পিয়াকে।’ হাসপাতালে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। কর্তব্যরত সেবিকা অলিম্পিয়া জানান, ওই সিজারটি করেন ডাক্তার শিশির। এ ছাড়া ডা. তানভীর রোগীর চেতনানাশের দায়িত্বে ছিলেন। নবজাতকের বাবা হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমি রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার বউরে ক্লিনিকে আনছি। ক্লিনিকে আনার পরে ১২টার আগে দিয়া ভর্তি করছে, ভর্তি করার পর অপারেশন করছে। ওই যে পরশ ক্লিনিকে। পরশ ক্লিনিকে ভর্তি করছে। ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরে ডাক্তার অপারেশন করছে, পরে বাবু সুস্থ আছিল। কিছুক্ষণ পরে কয় যে, মরা। মরার পরে তেনা দিয়া পেঁচাইয়া আমার ভাইয়ের কাছে দিয়া দিছে। পরে আমি কই বাবুটারে আমগোর বাড়িতে নেও, দেখমু। পরে দেখার পরে দেখি যে, চাইর দিক দিয়া বাবুর কাটা। লুঙ্গি দিয়া পেঁচাইয়া দিয়া দিছে। ডাক্তারের গাফিলতিতে মারা গেছে। আমরা ডাক্তারের বিচার চাই। বাবুটারে কাইটালাইছে।’ বলে আহাজারি করতে থাকেন হারুন। এদিকে গ্রেপ্তার পরিচালক শফিকুর রহমান জনি দাবি করে বলেন, চিকিৎসকরা সিজার করে মৃত বাচ্চাই বের করে আনেন।
আবজাল দম্পতির সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ পূর্ববর্তী

আবজাল দম্পতির সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ

চট্টগ্রামের বিএনপি নেত্রী দেওয়ান লিটা গ্রেপ্তার পরবর্তী

চট্টগ্রামের বিএনপি নেত্রী দেওয়ান লিটা গ্রেপ্তার

কমেন্ট