থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই
জোক্স: এরপর মশা মারার কাজে যোগ দিবি...
অনেক আগের গল্প এটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক গ্রামের স্কুলে ঢাকা থেকে ইন্সপেক্টর এসেছেন। প্রথমেই পরিদর্শনে...অষ্টম শ্রেণির কক্ষে ঢুকলেন, ক্লাস শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে গেলেন।
ফার্স্ট বেঞ্চের এক ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন পরিদর্শক: আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি কে?
ছাত্র: শেখ হাসিনা, স্যার।
পরিদর্শক: আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি প্রেসিডেন্ট কে?
পাশের থেকে অপর ছাত্র: ফেসিডেন্ট? খালেদা জিয়া, চার।
পরিদর্শক: তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি? আর তুমি ক্লাস এইটে উঠলা কেমনে? পড়াশোনা আদব-কায়দা কিচ্ছু জান না! আমি তোমার নাম কেটে দিবো স্কুলের খাতা থেকে!
ছাত্র: আমারতো স্কুলের খাতায় নামই নাই, আফনে কাটবেনটা কী?
পরিদর্শক: তার মানে?
ছাত্র: আমি স্কুলের মাঠে ছাগল নিয়া আইছিলাম, স্যারে কইলো, তোরে বিশ টিয়া দিমু, তুই ক্লাসে বইবি।
পরিদর্শক (খুব রেগে): ছিঃ মাস্টার সাহেব, আপনাদের লজ্জা করে না, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা! আমি আপনার চাকরি খেয়ে ফেলবো।
ক্লাস শিক্ষক: কাকে ভয় দেখান? আমি মাস্টার না, স্কুলের সামনের মুদি দোকানটা আমার, সহালে মাস্টার সাহেব আমারে কইলো, শহর থেকে এক বেঠা অইবো, আমি একটু হাটে গেলাম, তুই একটু ক্লাস ঘরে বইয়া থাকবি।
পরিদর্শক (ভীষণ রেগে ছুটে গেলেন হেড স্যারের রুমে): আপনি হেড স্যার?
প্রধান শিক্ষক: কোনো সমস্যা?
পরিদর্শক: নবাবের মতো আবার জিজ্ঞেস করেন- কোনো সমস্যা! আপনাদের লজ্জা করে না, নকল ছাত্র-শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালান।
প্রধান শিক্ষক: দেখুন লজ্জা আমার করার কথা না। কারণ, আমার মামা এই স্কুলের হেড স্যার, উনি জমি বেচা-কেনার দালালি করেন, কাস্টমার নিয়া অন্য গ্রামে গেছেন, কাইল রাইতে আমারে কইলো- ইন্সপেক্টার আইলে তার হাতে এই এক হাজার টাকার বানন্ডিলটা দিয়া দিস...
পরিদর্শক স্বস্তির হাসি হেসে: এই যাত্রায় আমিও বাঁচলাম আর আপনারাও বেঁচে গেলেন। আসলে আমার মামা ইন্সপেক্টার, ঠিকাদারির কাজ ও করেন, ডেঙ্গু মশা মারার টেন্ডার সাবমিট করতে রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনে গেছেন। পরশুদিন যাওয়ার আগে আমাকে বললো- তুই আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়... এরপর মশা মারার কাজে যোগ দিবি...
কমেন্ট