টানা হারতে পারলে টানা জিততেও পারব
চোট নিয়ে ডেভিড ওয়ার্নার চলে যাওয়ায় তাঁর মতো একজন খেলোয়াড়কে হারানোর পাশাপাশি নেতৃত্বের সংকটেও পড়েছিল সিলেট সিক্সার্স। পাকিস্তানের সোহেল তানভীরকে অধিনায়ক করে দিয়ে সেই সংকটই সমাধানের চেষ্টা তাদের। দায়িত্ব নিয়েই গতকাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন এই বাঁহাতি পেসার
প্রশ্ন : অধিনায়কত্ব একেবারেই নতুন কি না?
সোহেল তানভীর : আমি কিন্তু আগেও বহুবার অধিনায়কত্ব করেছি। পাকিস্তানে আমার স্থানীয় দলের অধিনায়ক ছিলাম। নেতৃত্ব দিয়েছি কানাডা লিগেও (গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি)। আমার সামর্থ্যে আস্থা রাখার জন্য সিলেটের টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।
প্রশ্ন : এমন সময়ে নেতৃত্ব পেলেন, যখন দলের অবস্থাও সুবিধার নয়।
সোহেল : ঠিকই বলেছেন। এ মুহূর্তে আমরা খুব একটা আদর্শ অবস্থায় নেই। তবে আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই করব। আর সেটি একটি কিংবা দুটি ম্যাচের ব্যাপার। আপনি একবার ছন্দটা ধরে ফেলতে পারলে কী হবে, কেউ জানে না। কাজেই ভালো অবস্থায় না থাকার পরও আমরা পরের কয়েকটি ম্যাচ জেতার প্রাণপণ চেষ্টা করব।
প্রশ্ন : ওয়াকারের বোঝাপড়াও নিশ্চয়ই কাজে লাগবে?
সোহেল : পাকিস্তান দলেও আমি ওয়াকার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। তাঁর সঙ্গে কাজ করার আরেকটি সুবিধা হলো ভাষাগত কোনো বাধা নেই।
প্রশ্ন : অধিনায়ক হওয়ার পর সামনের ম্যাচগুলো নিয়ে পরিকল্পনা কী?
সোহেল : আমরা একটি করে ম্যাচ ধরে ধরে এগোব। আমাদের আরো পাঁচটি ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে অন্তত তিন-চারটি ম্যাচ জিততে হবে আমাদের প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে। আমি ছেলেদের সঙ্গে এরই মধ্যে কথাও বলেছি। ওদের বলেছি, আমরা যদি টানা দু-তিনটি ম্যাচ হেরে গিয়ে থাকতে পারি, তাহলে টানা দু-তিনটি ম্যাচ জিততেও পারব।
প্রশ্ন : ডেভিড ওয়ার্নারকে মিস করবেন কতটা?
সোহেল : হ্যাঁ, আমরা অবশ্যই তাঁকে মিস করব। ব্যাটসম্যান হিসেবে শুধু নয়, দারুণ একজন নেতা হিসেবেও। ডাগ আউটে প্রাণশক্তির সঞ্চার করতেন তিনি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, করছিলেন রানও। যদিও আমাদের ব্যাকআপ আছে জেসন রয়। সমস্যা হলো আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি ঠিকই; কিন্তু সব কিছু একসঙ্গে হচ্ছে না।
কমেন্ট