বিএনপির সময়ে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী
টিসিবির পেঁয়াজ কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
ট্রের্ডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্বল্পমূল্যে নির্ধারিত স্থানে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা পেঁয়াজ মজুত করে কালোবাজারে বিক্রির সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করার দাবি করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সিটি করপোরেশন পাকা মার্কেটের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-২-এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকীভ তিনি বলেন, তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আসাদুজ্জামান (৫৬) ও হুমায়ুন কবির (৪৮)। অভিযানের সময় তাদের কাছ থেকে ট্রাকভর্তি ১ হাজার ৩৬৪ কেজি পেঁয়াজ ও একটি মিনি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ন-১১-৮৫৭০) জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সবিচলায়ের সামনে খোলা বাজারে বিক্রয়ের জন্য টিসিবি থেকে দেড় হাজার কেজি পেঁয়াজ নেয় মেসার্স পিয়ার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগীরা নির্ধারিত স্থানে পেঁয়াজ বিক্রি না করে মজুদ করে রাখে। এসব পেঁয়াজ কারওয়ান বাজারের সমানে কালোবাজারিতে বিক্রয়ের সময় অভিযান চালিয়ে হাতে-নাতে দুইজনকে প্রথমে আটক করা হয়। পরে মামলা হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
র্যাব জানায়, টিসিবির পেঁয়াজ মজুদ করে কালোবাজারির সময় ১ হাজার ৩৬৪ কেজি পেঁয়াজ জব্দ করা হয়। আটক আসামিরা অরিরিক্ত লাভের আশায় টিসিবির পেঁয়াজ মজুদ করে খোলাবাজার বিক্রি করছিল। তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ও সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছিল। তবে র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যাপক নজরদারি ও তদারকির ফলে মজুদদার ও কালোবাজারি চক্রটি টিসিবি থেকে উত্তোলন করা পেঁয়াজ বিক্রি করার সুযোগ পায়নি। এসব কালোবাজারি চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
কমেন্ট