টেলি সামাদের অবস্থার উন্নতি
জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ অসুস্থ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বুকে ইনফেকশন ছিল। রক্তের প্লাটিলেট কমে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার সকালে প্লাটিলেটের ভারসাম্য এসেছে কিন্তু হিমোগ্লোবিন কমে যাচ্ছে বলে জানান টেলি সামাদের মেয়ে সোহেলা সামাদ কাকলী। তবে আগের চেয়েও অবস্থার উন্নতি ঘটেছে বলেও তিনি জানান।
টেলি সামাদ এখন দেওয়ান প্রতীকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে মেয়ে সোহেলা সামাদ কাকলী কালের কণ্ঠকে বলেন, গত রাতের চেয়ে বাবার অবস্থা এখন কিছুটা বেটার। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। চিকিৎসক বলেছেন কিছু রক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় আছে, এরপর বোর্ড বসবে তারপর রিলিজের বিষয় আসবে।
অসুস্থতার শুরুটা কয়েকদিন আগে থেকেই উল্লেখ করে কাকলী বলেন, বাবা বেশ কয়েকদিন ধরে ঠিকঠাক মতো খাচ্ছিলেন না। তার কোনো খাবারই পছন্দ হচ্ছিল না, যার কারণে খেতে চাইছিলেন না। আমরা বুঝে উঠতে পারছিলাম না কীভাবে খাওয়াবো। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন।
এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা টেলি সামাদের বাইপাস সার্জারি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর একই বছর অক্টোবরে ও নভেম্বরে দুই দফা স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল টেলি সামাদকে।
গত বছরের ২০ অক্টোবর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলি সমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলে এখনও তার পরিবার গভীরভাবে স্মরণ করে। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অত্যন্ত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের জন্ম ২০ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের পাশের নয়াগাঁও গ্রামে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা টেলি সামাদের বড়ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে পা রাখা। চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
কমেন্ট