ডিএসই সঠিক ভূমিকা পালন করছে না: অর্থমন্ত্রী

ডিএসই সঠিক ভূমিকা পালন করছে না: অর্থমন্ত্রী

কৌশলগত বিনিয়োগকারী বাছাই ইস্যুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সঠিক ভূমিকা পালন করছে না বলে অভিযোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিষয়টিতে আগামী বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ড. রেহমান সোবহানের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক একটি ইস্যুতে ডিএসইর সঠিক রোল প্লে করছে না, তারা কারো কথাই শুনছে না। বৃহস্পতিবার তাদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হবে।’ এর আগে বাজেটে আর্থিক খাতে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অর্থনীতির অন্য সূচকগুলোর তুলনায় যথেষ্ট কাজ করছে না। ব্যাংকের এডি রেশিওসহ সাম্প্রতিক কয়েকটি ইস্যু শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে। ফলে বাজারের সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। এ সময় বাজেট আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অর্থপ্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, অর্থ সচিব মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) শামসুল আলমসহ দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বিএসইসি কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ডিএসই কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব আহ্বান করা, প্রস্তাব প্রাপ্তি, পর্যালোচনা ও বাছাই পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আহ্বায়ক কমিটি। শিগগিরই এ বিষয়ে কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্টক এক্সচেঞ্জটির কর্মকর্তারা। বিএসইসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, রেগুলেটরি অনুমোদনের জন্য ডিএসই শেনঝেন-সাংহাই কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের খুঁটিনাটি আমাদের কাছে জমা দিয়েছে। এক্সচেঞ্জ ও দেশের পুঁজিবাজারের স্বার্থে তাদের এ অংশীদারিত্ব কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা পর্যালোচনার জন্য কাজ করছে কমিশন গঠিত আহ্বায়ক কমিটি। যথাযথ পর্যালোচনার জন্য কমিটি স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রশ্ন করছে, ব্যাখ্যা চাইছে। এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সেগুলোর জবাবও দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজ (সোমবার) তাদের টেন্ডারিং প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, এর জবাব পেয়ে গেলে কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের সুপারিশ বা মূল্যায়ন কমিশনে জমা দিতে সক্ষম হবে। স্টক এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান থেকে শুরু করে প্রস্তাব বাছাই পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ই নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ধরে এগিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি দরপত্র যেসব নিয়মনীতি মেনে পরিচালিত হয়, তার সবই অনুসরণ করা হয়েছে। যেহেতু কৌশলগত বিনিয়োগ, সেহেতু এক্ষেত্রে প্রচুর টেকনিক্যাল বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং এখানে চূড়ান্ত চুক্তির আগে খুঁটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে দরকষাকষি ও শর্ত পরিবর্তনের সুযোগ থাকলে তা সবার জন্যই গঠনমূলক। টেন্ডারিং প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশনের প্রশ্নসংবলিত চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এক্সচেঞ্জ কর্মকর্তারা। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এর লিখিত জবাব দেয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে কমিটির চাওয়া বর্ধিত সময় শেষ হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার। এদিকে পূর্বনির্ধারিত ডেডলাইন ৮ মার্চের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারী বাছাই করে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করতে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশনের কাছে এজন্য বাড়তি সময় চেয়ে তিন মাস সময় পেয়েছে ডিএসই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ আরো এক বছর সময় পেয়েছে।
পানির বর্জ্য তেল পরিষ্কার করবে মোংলা বন্দরের নতুন জাহাজ পূর্ববর্তী

পানির বর্জ্য তেল পরিষ্কার করবে মোংলা বন্দরের নতুন জাহাজ

পেঁয়াজের মূল্যহ্রাস পরবর্তী

পেঁয়াজের মূল্যহ্রাস

কমেন্ট