ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার বা স্মারক গ্রহণ করিনি

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার বা স্মারক গ্রহণ করিনি

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদানের জন্য কোনো পুরস্কার বা স্মারক গ্রহণ করিনি। একটি সংগঠন তাদের প্রথাগতভাবে আমাকে সম্মাননা জানিয়েছে। একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অন্য সবার সাথে আমাকেও একটি স্মারক তুলে দেয় আয়োজকরা। কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোনো বিষয়কে আংশিক বা ভুলভাবে পরিবেশন করা দুঃখজনক। আজ শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। সমবায়মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সকল প্রতিষ্ঠান আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আশা করি ডেঙ্গু মোকাবেলায় আমরা সফল হবো। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করাটাই সমাধানের উত্তম পন্থা। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদ কাজ করে যাচ্ছে। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছেন। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থাও এ ব্যাপারে কাজ করছে। এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। পরে তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, সংসদ সদস্য গাজী শাহনওয়াজ মিলাদ, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শেখ মো. মুয়াইমিন, তত্ববধায়ক প্রকৌশলী বিপুল চন্দ্র বণিক, এলজিইিডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু জাকির সেকান্দার ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ। শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। এ লক্ষে শিক্ষা ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তখন ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান বলেছিলেন দেশে খাদ্য ঘাটতি থাকলে ভালো। বিদেশ থেকে সাহায্য আসে। তারা চেয়েছিল এই দেশ যেন ভিক্ষুকের জাতি হয়। কিন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশকে বিক্ষুকের জাতির কলঙ্ক মুছে এখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিদ্যুতের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। শিক্ষার হার এবং গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। বাড়ছে রপ্তানী আয়।
‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রাখবে’ পূর্ববর্তী

‘রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র চাপ অব্যাহত রাখবে’

মোজাফফর আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী

মোজাফফর আহমদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

কমেন্ট