তিন বাংলাদেশিসহ চার নব্য জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ

তিন বাংলাদেশিসহ চার নব্য জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ

কলকাতায় নিজেদের নেটয়ার্ক বিস্তৃতির হুমকি দিয়েছিল ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তারপর মাস পেরোতেই কলকাতার খাস শহরের বুক থেকে ধরা পড়ল বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবি'র চার সক্রিয় সদস্য। এ তথ্য জানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার। প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। আটককৃতরা হলেন- মুহম্মদ জিয়াউর রহমান ওরফে মহসিন, মামুনুর রশিদ, মুহম্মদ শাহিন আলম ওরফে আলামিন এবং রবিউল ইসলাম। কলকাতা পুলিশ জানায়, ধৃতদের মধ্যে মহম্মদ জিয়াউর রহমান ও মামুনুর রশিদ বাংলাদেশের বাসিন্দা। শিয়ালদা স্টেশনের পার্কিং এরিয়া থেকে মঙ্গলবার সকালে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই খোঁজ মেলে রবিউল ও আলামিনের। রবিউল বীরভূমের নয়াগ্রামের বাসিন্দা। আলামিন বাংলাদেশের জেএমবি'র সক্রিয় সদস্য। হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে রবিউল ও আলামিনকে পাকড়াও করে পুলিশ। তাদেরর কাছ থেকে মোবাইলসহ জিহাদ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মোবাইল ঘেঁটে প্রচুর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেছে বলে জানান তারা। জিজ্ঞাসাবাদে চারজন জানিয়েছেন, তারা নব্য জেএমবি'র সক্রিয় সদস্য। ইসলামিক স্টেটের মতাদর্শে অনুপ্রাণিত। তদন্তকারীদের ধারণা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে নতুন করে ঘাঁটি তৈরি করাই উদ্দেশ্য জেএমবি'র। এই সংগঠনকে প্রত্যক্ষভাবে মদত দিচ্ছে আইএস। ২০১৪ সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণে নাম উঠে আসে জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর। এর পর ২০১৬-এ ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালায় এই জঙ্গিগোষ্ঠী। সেই ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই কেন্দ্রের নিশানায় ছিল জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিগোষ্ঠী। তাদের গতিবিধির ওপর কড়া নজর রাখাও হচ্ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি নোটিশ জারি করে। তাতে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা- এই তিন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে লাগোয়া বেশ কয়েকটি জেলাতে তাদের বেস ক্যাম্প তৈরি করার পরিকল্পনা করছে জেএমবি। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ ভারতে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার করার চেষ্টা করছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। পুলিশ জানিয়েছে, বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ছিল নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। সেই সময় অবিভক্ত জেএমবি ছিল। অবিভক্ত জেএমবি'র সুরা কমিটির সদস্য হাতকাটা নাসিরুল্লা। খাগড়াগড় মডিউলের অত্যনতম সদস্য ছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীকালে আদর্শগত মতপার্থক্যের কারণে নাসিরুল্লা এবং জেএমবির বেশ কিছু সদস্য আইএস মতাদর্শী হয়ে নব্য জেএমবি তৈরি করে। তবে নাসিরুল্লা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে।
বিমানেও দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে কম ভাড়ায়! পূর্ববর্তী

বিমানেও দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হবে কম ভাড়ায়!

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলার দাবি উড়িয়ে দিল ইরান পরবর্তী

যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার হামলার দাবি উড়িয়ে দিল ইরান

কমেন্ট