তীরন্দাজিতে মাতবে ঢাকা

তীরন্দাজিতে মাতবে ঢাকা

তীর-ধনুকের খেলা আর্চারিতে বাংলাদেশ সাফল্য পাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। তবে ক্রীড়াঙ্গনে খেলাটা এখনো জনপ্রিয় নয়। কাল থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে ছবিটা বদলাতেও পারে। দেশে আন্তর্জাতিক আর্চারির এত বড় আসর এই প্রথম। এশিয়ার ৩৫টি দেশের ৪০০ আর্চার তাতে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকায় আসা এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশনের মহাসচিব তো ঘোষণাই করে দিয়েছেন, অংশগ্রহণের দিক দিয়ে এটিই হতে যাচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় আসর। বাংলাদেশে তা প্রথম। প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কোনো আর্চার, অলিম্পিকে সোনাজয়ী আর্চাররা লড়াইয়ে নামবেন ঢাকার মাঠে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে রোমান সানা, সাজ্জাদ হোসেনের দুটি গ্রাঁপ্রি জয়, শুরুটা করেছিলেন ইমদাদুল হক মিলন যুব অলিম্পিক বাছাইয়ে সোনা জিতে। পরে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসেও রুপা জিতেছেন তিনি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের তুলনায় ওই আসরগুলো দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির। বিশ্ব শাসন করছেন কোরিয়ান আর্চাররা। সর্বশেষ রিও অলিম্পিকের চারটি সোনার সবগুলোই নিয়েছেন তাঁরা। রিওতে জোড়া সোনা জেতা মহিলা আর্চার চ্যাং হাই জিন ঢাকায় এশিয়ান মুকুট ধরে রাখার মিশনে নামবেন। কম্পাউন্ড ইভেন্টে একজন বিশ্বচ্যাম্পিয়নেরও খেলার কথা এই আসরে। কোরিয়ান এই আর্চারদের সঙ্গে পদকের লড়াইয়ে থাকতে পারেন চীন, জাপান, ভারত ও মালয়েশিয়ান আর্চাররা। এশিয়ান এই আসরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার ফাইনাল। ২০১৫ সালে ব্যাংককে সর্বশেষ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের রিকার্ভ বো’র ব্যক্তিগত ইভেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন রোমান সানা। ঢাকার আসরেও স্বাগতিকদের প্রত্যাশা এশিয়ান গ্রাঁপ্রি জয়ী এই আর্চারকে ঘিরে। রিকার্ভ বো ইভেন্টে তাঁর সঙ্গে অংশ নেবেন তামিমুল ইসলাম, ইব্রাহিম শেখ ও হাকিম আহমেদ। তামিমুল যুব কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতে নিজের প্রতিভার জানান দিয়েছেন। এবার এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে তাঁরও বড় পরীক্ষা। রিকার্ভের মেয়েদের ইভেন্টে গত অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়া শ্যামলী রায় দলে নেই পারফরম্যান্সের কারণে। এসএ গেমসে রুপাজয়ী বিউটি রায় আছেন, তাঁর সঙ্গে নাসরিন আক্তার, রাবেয়া খাতুন ও রাদিয়া আক্তার খেলবেন দলগত ইভেন্টে। কম্পাউন্ড ইভেন্টে গত এসএ গেমসে রুপাজয়ী সুষ্মিতা বণিক ও রোকসানা আক্তারের সঙ্গে খেলবেন বন্যা আক্তার ও বিপাশা আক্তার। ছেলেদের দলে আবুল কাশেম, নাজমুল হুদা, মিলন মোল্লা ও এহসান আহমেদ। বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল ও কোচ নিশীথ দাস কেউই পদকের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন না বাস্তবতা মাথায় রেখে। তবে জোর দিয়েই বলেছেন দেশের মাটিতে এবার অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে চায় বাংলাদেশ দল, অর্থাৎ খেলার আশা সেমিফাইনালে। গত ৮ মাস ধরে আর্চাররা এই আসরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে তাঁরা ক্যাম্প করেছেন। তবে খেলা যে ভেন্যুতে হবে সেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই তাঁদের খেলা হয়নি কখনো। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা অনুশীলনের জন্য এই স্টেডিয়াম চেয়েও পায়নি। যে কারণে বাইরের দেশের প্রতিযোগীরা কাল যেমন প্রথম নামবেন মাঠে, তেমনি প্রথম নামতে হবে স্বাগতিক আর্চারদেরও। স্বাগতিক হয়েও সেই সুবিধা তারা কাজে লাগাতে পারছেন না। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় আসর বলেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে বেছে নিতে হয়েছে আর্চারি ফেডারেশনকে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন দলগুলোর অনুশীলনের জন্য হকি স্টেডিয়াম বরাদ্দ পেয়েছে তারা। আজ প্রত্যেকটি দলই তাদের অফিশিয়াল প্র্যাকটিস সেশন সেরে নেবেন। কাল থেকে শুরু হয়ে যাবে পদকের লড়াই। রিকার্ভ ব্যক্তিগত ও দলগত, কম্পাউন্ড ব্যক্তিগত ও দলগত এবং দুই বিভাগে দুটি মিক্সড ইভেন্টে হবে সোনার লড়াই।
ডার্বি জিতল শেখ জামাল পূর্ববর্তী

ডার্বি জিতল শেখ জামাল

অবশেষে বিপিএল পাচ্ছে মুস্তাফিজকে পরবর্তী

অবশেষে বিপিএল পাচ্ছে মুস্তাফিজকে

কমেন্ট