দক্ষিণ কোরিয়ার বিরল প্রস্তাব

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরল প্রস্তাব

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক আলোচনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। উভয় দেশের পক্ষ থেকে এ ধরনের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার নজির বিরল। উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন দক্ষিণ কোরিয়া। এই ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তাদের পশ্চিমা মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর মধ্যে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক আলোচনার প্রস্তাবকে পরিস্থিতির নতুন মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এখন দুই দেশ যদি আলোচনার জন্য এগোয় এবং তাদের মধ্যে আলোচনা হয়, তাহলে তা হবে ২০১৫ সালের পর সিউল ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের কোনো বৈঠক। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, আলোচনা হওয়া উচিত সীমান্তে সামরিক উত্তেজনা বাড়ানোর জন্য দায়ী সব শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন চাইছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক যতদূর সম্ভব ভালো করার। তবে সিউলের প্রস্তাবের বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং। সম্প্রতি বার্লিনে এক অনুষ্ঠানে মুন জে-ইন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সংলাপ হলে তা হবে সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, যারা চান উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম শেষ হোক, তাদের জন্য এই চুক্তি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, বিশেষ করে সম্প্রতি তাদের আন্তঃমহাদেশীয় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার মাধ্যমে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপকে তাদের প্রতিবেশী ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুহ চু-চাক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক অঞ্চল পানমুনজামে উত্তর কোরিয়ার ভবনে এই আলোচনা হতে পারে। আগে অনেকবার এ ধরনের আলোচনা সেখানে হয়েছে। সুহ চু-চাক প্রস্তাব দেন, ‘২১ জুলাই আলোচনা হতে পারে। আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করছি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার একত্রীকরণমন্ত্রী চো মাইওয়ুং গায়োন দুই কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগের হটলাইনগুলো আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বছর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। এদিকে, রেডক্রস ও দক্ষিণ কোরিয়া আরেকটি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে, যার লক্ষ্য হবে কোরীয় যুদ্ধে দুই কোরিয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া স্বজনদের মধ্যে পুনর্মিলনীর বিষয়ে কথা বলা।
খুলে দেওয়া হয়েছে আল-আকসা মসজিদ পূর্ববর্তী

খুলে দেওয়া হয়েছে আল-আকসা মসজিদ

পিয়ংইয়ংকে সামরিক আলোচনার প্রস্তাব দিল দক্ষিণ কোরিয়া পরবর্তী

পিয়ংইয়ংকে সামরিক আলোচনার প্রস্তাব দিল দক্ষিণ কোরিয়া

কমেন্ট