বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নে প্রেমে সাড়া না পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত এক যুবতিকে দুই দফা ধর্ষণের অভিযোগে তারেক রহমানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারেক রহমান উপজেলার আড়কাটিয়া গুচ্ছ গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র মেয়েটি আড়কাটিয়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ২ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ৪ মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তালাকের পর মেয়েটি বাবার বাড়িতে থেকে টুপি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এ অবস্থায় বখাটে তারেক রহমান প্রতিবেশী মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটি প্রেমে সাড়া দেয়নি। এক পর্যায়ে ১৩ আগস্ট দুপুরের দিকে তারেক রহমান মেয়েটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নেয়। এ সময় ওই বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগে তারেক মেয়েটিকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ওই দিনই মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি তার মা-বাবার নিকট প্রকাশ করে। পরে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি তারেকের বাবাকে জানিয়ে কোনো সুরাহা মেলেনি। এদিকে, অভিভাবকের নিকট বিচার চাওয়ায় মেয়েটির ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তারেক। এক পর্যায়ে ৩০ আগস্ট দুপুরের দিকে মেয়েটি নিজের ঘরে বিশ্রামে ছিল। এসময় ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে। বার বার ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী করে শুক্রবার সকালের দিকে বখাকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সকাল ১০টার দিকে তারেক রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার একমাত্র আসামি তারেক রহমানকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।