নতুন হাইস্পিড রেলে ৫৪ মিনিটেই যাওয়া যাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম

নতুন হাইস্পিড রেলে ৫৪ মিনিটেই যাওয়া যাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম

বর্তমান সোজা রেল রুট না থাকায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৩২১ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয়। এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম সংক্ষিপ্ত পথে রেলপথ করার পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনা চলছে। নতুন রেলপথের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে জানা গেছে, সর্বোচ্চ ২৩৩ কিলোমিটার হবে নতুন রেল রুট। এতে মাত্র ৫৪ মিনিটেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে। নতুন রুট উড়াল পথে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রামে চলে যাবে। এতে স্থাপিত হাইস্পিড ট্রেনের গতি হবে সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার। ফলে রেলপথে যাতায়াতের সময় কমে আসবে ৫৪ মিনিটে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন রেলপথ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সে প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আগামী বছর নির্মাণ শুরু করলে ২০২৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালু করা যাবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। এখনও নতুন রেলপথের রুট চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে প্রতিবেদনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথের জন্য চারটি সম্ভাব্য রুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- ১. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম ২. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, লাকসাম, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম ৩. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম ৪. ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, লাকসাম, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম। রুট হিসেবে প্রথম দুটিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে রেলওয়ে। কারণ কুমিল্লায় স্টেশন না থাকায় তৃতীয় ও চতুর্থ রুটে যাত্রী কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ভূমির ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণে জমির বাড়তি ব্যবহার ও রেল চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে গতি সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে রেলপথটি উড়ালপথে নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ রুটে ছয়টি করে স্টেশন নির্মাণ করতে হবে। আর দ্বিতীয় রুটের ক্ষেত্রে স্টেশন হবে সাতটি। যদিও এক্ষেত্রে কুমিল্লা থেকে লাকসাম অংশটিতে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। তবে ১০টি সূচকের ভিত্তিতে প্রথম রুটটি তথা ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রাম করিডোরে হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণের জন্য সুপারিশ করে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের জন্য ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার গতির রেলপথ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। চারটি রুটের ক্ষেত্রে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিরতিহীনভাবে যেতে সময় লাগবে যথাক্রমে ৫৬, ৫৭, ৫৫ ও ৫৪ মিনিট। আর প্রতি স্টেশনে দুই মিনিট করে বিরতি দিলে প্রস্তাবিত চার রুটে ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডারে যাতায়াতে সময় লাগবে যথাক্রমে ৭০, ৭৬, ৬৯ ও ৬৮ মিনিট।
দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী পূর্ববর্তী

দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী

এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২৬ ফেব্রুয়ারি

কমেন্ট