নিম পাতা কী ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

নিম পাতা কী ক্যান্সার প্রতিরোধ করে?

শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ার বিষয়টি যে কোনো রোগীর কাছেই একটি ভয়াবহ ব্যাপার। ফলে এ নিয়ে মানুষের ভেতর বাড়ছে সচেতনতা। প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার করি এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা বাড়িয়ে তুলতে পারে আমাদের ক্যান্সার ঝুঁকি। তাই এই বিপদ থেকে দূরে থাকতে স্বাস্থ্যকর, রাসায়নিকমুক্ত জীবনযাপন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কয়েক বছর ধরে বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা প্রাকৃতিক এবং ওষুধ উভয় পন্থা আবিষ্কারে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের গবেষণা অনুযায়ী নিম পাতায় এমন উপাদান পাওয়া গেছে যা ক্যান্সার রোধে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত নিম পাতার রস সেবন এবং এই পাতা ব্যবহারে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। ভারতের হায়দ্রাবাদের বিজ্ঞানীরা উদ্ভিদটি পরীক্ষা করে দেখেছেন, নিম পাতায় রয়েছে নিম্বোলাইড নামের একটি শক্তিশালী ফাইটোকেমিক্যাল যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করতে পারে। তাঁরা যৌগটি গলা, অগ্ন্যাশয় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্তের ওপর প্রয়োগ করে অবিস্মরণীয় সাফল্য পেয়েছেন। এটি আধ্যাত্মিক নিরাময় ব্যবস্থা এবং যোগী, সাধুদের দ্বারাও সমর্থিত। নিম কেন ক্যান্সারে সহায়ক? আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রে নিমকে 'সর্বো রোগা নিভারিনি' বা নিরাময়কারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা সর্বরোগ ও অসুস্থতার সমাধান দিতে পারে। এতে অনেক উপকারী এবং নিরাময়যোগ্য উপাদান রয়েছে যা আঘাতজনিত সমস্যা, চর্মরোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং গ্যাস্ট্রিক রোগ নিরাময় করে। এটি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া নিম পাতায় ওষুধের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে কারণে একে প্যানাসিয়া বা আধুনিক চিকিৎসার বিস্ময়কর নমূনা বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সহায়ক উপাদান বিদ্যমান থাকায় নিম পাতা কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। কোষ শক্তিশালী করে এটি শরীরের প্রদাহ কমায় এবং এর মাধ্যমে ক্যান্সার বিস্তারের গুরুতর ঝুঁকি রোধ করে। নিম কী ক্যান্সাররোধী ওষুধ? যদিও পদ্ধতিটি নিয়ে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, তবু অস্বীকার করা যায় না যে নিম চায়ে এমন উপাদান পাবেন যা সামগ্রিকভাবে আপনার শরীরের জন্য ভালো। এতে রয়েছে কোষের পুনরুত্পাদন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় উপাদান। তবে বহু স্বাস্থ্য সুবিধা থাকা সত্ত্বেও নিম পাতায় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। নিম পাতা থেকে প্রাপ্ত তেল একটি প্রাকৃতিক শুক্রাণুনাশক হিসেবে পরিচিত যা শুক্রাণু হত্যা করে। সুতরাং, গর্ভবতী হওয়ার চতুর্থ বা পঞ্চম মাস পর্যন্ত কোনো নারী এটি সেবন করলে তাঁর পেটের সন্তান মারা যেতে পারে।
গরমে পেটের চর্বি কমাবে শসার জুস পূর্ববর্তী

গরমে পেটের চর্বি কমাবে শসার জুস

সপ্তাহে ৩টি ডিম খেলেই হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকি! পরবর্তী

সপ্তাহে ৩টি ডিম খেলেই হৃদরোগের উচ্চ ঝুঁকি!

কমেন্ট