নীলফামারীতে শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

নীলফামারীতে শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮

নীলফামারীর উত্তরা ইউপিজেডে পরচুলা তৈরির এভারগ্রিণ প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেডে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জলাকালে কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও অর্থ লুটের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৮ জন। আজ বুধবার বিকালে পুলিশ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তাদের কাছে থাকা কারখানার লুটের তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি স্ক্যানার, কিবোর্ড, একটি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ওই কারখানার নিরাপত্তা কর্মী আরিফুল ইসলাম (২৬), লাইন লিডার আমিনুল ইসলাম (২৫), কালেক্টর সাদেকুল ইসলাম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (৩০), ভাগ্য চন্দ্র রায় (২৫), শ্রমিক শরিফুল ইসলাম (২৬), লেবু মিয়া (২৭) ও শাহিন (২৩)। পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন সকালে উত্তরা ইউপিজেডের এভারগ্রিণ প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরি বিডি লিমিটেডের পরচুলা তৈরির কারখানায় ছাঁটাইয়ে প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন শ্রকিকরা। তাদের বিক্ষোভ চলাকালে ওই কারখানায় ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ, অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। পরদিন রাতে (২৮ জুন) শ্রমিক অসন্তোষের আড়ালে দুস্কৃতিকারীরা ওই হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. জাহাঙ্গীর আলম। ওই মামলায় গত মঙ্গলবার থেকে শুরু করে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে লুট হওয়া তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি স্ক্যানার, কিবোর্ড, একটি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার হয়। মামলায় নামীয় তিন জনসহ অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩৫০ জনকে। ক্ষতির পরিমান দাবি করা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শ্রমিক অসন্তোয়ের ধুয়া তুলে হেলমেট পরিহিত একদল সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হাতে স্ক্রু ড্রাইভার, হাতুড়ি, লোহার রড ও ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে প্রথমে কারখানার নিরাপত্তা কক্ষ তছনছ করে। এরপর সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর ও উল্টে দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। আগুনে পুড়ে যায় দুটি কাভার্ড ভ্যানসহ কারখানার বিভিন্ন যত্রপাতি। এছাড়া ৩০ থেকে ৩৫টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ৫টি ফর্ক লিস্টার, ৪৫০ টি সিসি ক্যামেরা, ৩২০ টি কম্পিউটার, ৩২০ টি হার্ডডিক্সসহ অসংখ্য আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং উৎপাদিত মালামালের ক্ষতিসাধন ও লুটপাট করে। একই সাথে কম্পানীর দুটি লকার ভেঙ্গে ৯৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৯১ টাকা লুট করে নেয়। নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মাহমুদ উন নবী বলেন, আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত আট কজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে কারখানার নিরাপত্তা কর্মী আরিফুল ইসলামের কাছ থাকা লুটের তিন লাখ ৬২ হাজার ৬৩০ টাকা, শ্রমিক শরিফুলের কাছ থাকা একটি মোটরসাইকেল এবং শ্রমিক শাহিনের কাছ থাকা একটি কম্পিউটার মনিটর, একটি কিবোর্ড, একটি স্ক্যানার, একটি সিসি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শ্রীমঙ্গলে দা দিয়ে শিশু হত্যার মূল আসামি আটক পূর্ববর্তী

শ্রীমঙ্গলে দা দিয়ে শিশু হত্যার মূল আসামি আটক

স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত নয়, অন্য কারণে খুন হন রিপন পরবর্তী

স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত নয়, অন্য কারণে খুন হন রিপন

কমেন্ট