নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি, তাকেই ভোট দেবেন: শেখ হাসিনা

নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি, তাকেই ভোট দেবেন: শেখ হাসিনা

যেখানে যে আসনেই নৌকা প্রতীকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে তাকেই বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ মাস আমাদের বিজয়ের মাস। এই বিজয়ের মাসের ৩০ তারিখ নির্বাচন। এ নির্বাচনে আপনাদের কাছে আমার আহ্বান, আপনাদের এই এলাকায় আমরা প্রার্থী দিয়েছি, যিনি নৌকা মার্কায় নির্বাচন করছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি। সেই মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আপনারা জয়যুক্ত করবেন, যেন এই বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক পথসভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন তিনি। পরে কোটালীপাড়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। পূর্বনির্ধারিত সফর সূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার পথে রওনা হয়েছেন। পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রথম পথসভায় অংশ নেন তিনি। পথসভায় স্থানীয় ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ’র পক্ষে ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ আপনাদের সামনে এসেছি নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে। কারণ এই নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে আজ বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছি। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মোডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, আজ সারাদেশে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল— এই সময়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের সঙ্গে। কিন্তু একটি অনুরোধ আপনাদের কাছে, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক— এই মাটিতে যেন স্থান না পায়। আপনারা জানেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আগুন, সন্ত্রাস ও হানাহানি বন্ধ করার জন্য জনমত সৃষ্টি করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে জানিয়ে মা-বোন ও অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মাদক একটি পরিবারকে ধ্বংস করে। কাজেই মাদকের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কোনো মাদক এ দেশে চলবে না। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই জনগণ এসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। আমরা পরপর দু’বার ক্ষমতায়। সামনে আরেকটি নির্বাচন। আপনারা মনে রাখবেন, আপনাদের একটি ভোট আমাদেরকে সরকার গঠন করতে সহায়তা করবে। এমনও হয়, একটা সিটের জন্য আমরা হয়তো সরকার গঠন করতে পারব না। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এই আসনে আপনারা নৌকাকে জয়ী করবেন, যেন আমরা সরকার গঠন করে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারি। ‘পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। আজ যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে না পারে, তাহলে এই সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। এর আগে এই সেতুর কাজ আমি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন এ সেতুর কাজ বন্ধ করে দেয়। আগামীতে যেন কেউ এসে আমাদের কাজ বন্ধ করতে না পারে, তার জন্য আপনাদের ভোট অত্যন্ত মূল্যবান,’— বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, আমি জানি, অনেকে অনেক কিছু বলে আপনাদের সামনে হাজির হবে। কিন্তু মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন আপনাদের ভোট ছিনিয়ে নিতে না পারে, সেদিকে আপনারা অবশ্যই জনমত তৈরি করবেন। আপনারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে নিজের ভোট দেবেন, নৌকা মার্কায় দেবেন, যেন উন্নয়নের এই জোয়ার আমরা অব্যাহত রাখতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, আমার জীবনে চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নাই। আমার একটাই কাজ, সেটা হলো মানুষের সেবা করা। সেই সুযোগটাই চাই আপনাদের কাছে। পথসভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও উপস্থিত আছেন।
৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পায়তাঁরা কি না খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পূর্ববর্তী

৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তির পায়তাঁরা কি না খতিয়ে দেখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ

১৬৮ থেকে ২২২ আসনে জিতবে আওয়ামী লীগ: সজীব ওয়াজেদ পরবর্তী

১৬৮ থেকে ২২২ আসনে জিতবে আওয়ামী লীগ: সজীব ওয়াজেদ

কমেন্ট