পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টে স্প্যানের গার্ডার বসানো শুরু হচ্ছে আজ

পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টে স্প্যানের গার্ডার বসানো শুরু হচ্ছে আজ

দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে স্বপ্নের পদ্মাসেতুর নির্মাণ। আজ শনিবার শুরু হচ্ছে শরিয়তপুরে জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে ২১ ও ২২ নম্বর পিলারে জে-৪ স্প্যানের গার্ডার বসানোর কাজ । এই স্প্যানের ওপরে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর পর শুরু হবে রেললাইন বসানোর কাজ। পদ্মাসেতুর ভায়াডাক্টে যেসব রেলওয়ে স্প্যান বসানো হচ্ছে তা বাংলাদেশে প্রথম। একটি একটি করে ৬টি আই গার্ডার পিলারে উঠানোর পর একটি স্প্যান পরিপূর্ণতা পায়। ক্রেনের সাহায্যে এসব রেলওয়ে স্প্যান পিলারের উচ্চতায় উঠানো হয়। শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ভায়াডাক্টে (সেতুর গোড়ায়) বসানো হচ্ছে রেলওয়ে স্প্যান। জাজিরায় সেতুর ভায়াডাক্টে বসানো হয়েছে জে-৩ রেলওয়ে স্প্যান। এই স্প্যানের দৈর্ঘ্য ৩৮ মিটার। মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় এরকম ৭টি ও জাজিরায় ৭টি করে মোট ১৪টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানে মোট ৬টি আই-গার্ডার রয়েছে। সেই হিসেবে দুই প্রান্ত মিলিয়ে ভায়াডাক্টে মোট ৮৪টি আই গার্ডার থাকবে। পদ্মাসেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রেলওয়ে স্প্যানের কাজ শুরুর ২৭ দিনের মাথায় বসানো হল রেলওয়ে স্প্যান। ভায়াডাক্টে জাজিরা প্রান্তে ২০ ও ২২ নম্বর পিলারে জে-৩ স্প্যানটি বসানো হয়। এর আগে শুক্রবার জাজিরা প্রান্তে ২০ ও ২১ নম্বর পিলারে রেলওয়ে স্প্যান সফলভাবে বসানো সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। জাজিরা প্রান্তে রেলওয়ে ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা পূর্ববর্তী

আজ শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা

‘শিগগিরই’ রাখাইন ও কক্সবাজারে আসছে আসিয়ান টিম পরবর্তী

‘শিগগিরই’ রাখাইন ও কক্সবাজারে আসছে আসিয়ান টিম

কমেন্ট