বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচয় দেওয়ার মতো যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা নদী থেকে মাটি-বালু চুরি করতেন তারা, অবশেষে ধরা
পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মানদীর তিনটি পয়েন্ট থেকে মাটি ও বালি চুরি সিন্ডিকেটের গডভাদারসহ তিন সহযোগিতাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মৃত আফতাব প্রাং ছেলে মাটি ও বালি চুরি সিন্ডিকেটের গডফাদার জামাল উদ্দিন জয় (৪০), একই ইউনিয়নের বিলকেদা গ্রামের মৃত আমির উদ্দিন প্রাং ছেলে রাজা প্রাং (৪২) ও মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪০)। এই সময় মাটি ভর্তি একটি ড্রাম ট্রাকও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম আতিক সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে লক্ষ্মীকুন্ডার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। আজ বুধবার সকালে আটককৃতদের পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৫৬ ইটভাটায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদী থেকে মাটি ও বালি চুরি করে ইটভাটায় বিক্রয় করে আসছে। একই সঙ্গে ইটভাটার মালিকরাও মাটি ও বালি চুরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন চাষের সমতল জমি থেকেও মাটি কেটে ও বালি উত্তোলন করে বিক্রয় করছেন। এতে ব্যক্তিগতভাবে এই সিন্ডিকেট সদস্যরা অঢেল টাকার মালিক হলেও সরকারি প্রতি বছর কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সূত্র মতে, থানা পুলিশ বারবার এসব পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ১০-১২টি ড্রাম ট্রাক, ট্রাক্টর, মাটি ও বালি কাটার এস্কেভেটর (বেকু) জব্দ করে। একই সঙ্গে ৬টি মামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ১৫ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে আসামিরা এসেই পদ্মা নদী থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি কাটা ও বালি উত্তোলন শুরু করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পদ্মানদী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালি উত্তোলন মামলার পলাতক আসামি। অবৈধভাবে মাটি চুরি ও বালি উত্তোলন প্রতিরোধে পুলিশি অভিযান অব্যহৃত থাকবে বলে জানান ওসি।
কমেন্ট