পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে হারল আফগানরা

পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করে হারল আফগানরা

সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২৫৭ রানের পুঁজিটা খারাপ ছিল না আফগানিস্তানের। এই রান তাড়া করে জয় পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে পাকিস্তানকে। অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা পাকিস্তান রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে শেষপর্যন্ত জয় পেয়েছে ৩ উইকেটে। তবে আফগানরা ম্যাচ হারলেও ব্যাটে-বলে বেশ উজ্জ্বল ছিল তাদের পারফরম্যান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় আসগর আফগানের দলটি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। ২৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বেশ বড় এক ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামান। এসময় মুজিবুর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের ভীত রচিত হয় পাকিস্তানের। পাকিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। ১০৪ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় এ ইনিংসটি খেলে রানআউটের খড়গে কাঁটা পড়েন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন বাবর আজম। এরপর রশিদ খান ও মুজিবুর রহমানের ধারাবাহিক আক্রমণে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে এসময় পাকিস্তানকে পথ দেখান অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। ৪৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মালিক। বল হাতে আফগানদের হয়ে রশিদ খান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান মুজিবুর রহমান। এছাড়া বাকি উইকেটটি পান গুলবাদিন নাইব। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে হাসমতউল্লাহ সাঈদির ব্যাট থেকে। ১১৮ বলে ৭টি চারে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান আসে অধিনায়ক আসগর আফগানের ব্যাট থেকে। এছাড়া রহমত শাহ ৩৬ ও মোহাম্মদ শাহজাদ ২০ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ নেওয়াজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান। ২টি উইকেট পান শাহেন শাহ আফ্রিদি।
ম্যানসিটির জার্সিতে আজ আগুয়েরোর মাইলফলক পূর্ববর্তী

ম্যানসিটির জার্সিতে আজ আগুয়েরোর মাইলফলক

ব্রাজিল দলে ডাক পেলেন বার্সার ম্যালকম পরবর্তী

ব্রাজিল দলে ডাক পেলেন বার্সার ম্যালকম

কমেন্ট