প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস পরিকল্পনার অভিযোগে বরিশালে আবাসিক হোটেল থেকে ৭ জন ও ছাত্রলীগ নেতার বাসভবন থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল শহরের আবাসিক হোটেল ইম্পেরিয়ালে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করার পরিকল্পনার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে গভীর রাতে নগরীর সার্কুলার রোডস্থ এ পরিকল্পনার মূলহোতা সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি’র বাসভবনে অভিযান চালিয়ে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, মো. শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৫), ফাতেমা বেগম (২৯), নাজমিন নাহার মনি (২৭), এলিনা বেগম রুপা (২৬), মোঃ আনোয়ার হোসেন ফকির (৩৯), মোঃ আহসান হাবিব হাওলাদার (৩৫), মোঃ জহির উদ্দিন জুয়েল (৩৫), জায়েদা খাতুন (৩০) ও মোঃ বাদল ব্যাপারি (৩৮)। অভিযানকালে ৩টি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্লু¬টুথ, ৮টি মোবাইল সেট ও নগদ ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। আটক ১০ জনের বিরুদ্ধে আজ শনিবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মহিউদ্দিন মাহি (পিপিএম) বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান, ওসি আওলাদ হোসেন মামুন ও এসআই মহিউদ্দিন মাহি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) গোলাম রউফ খান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে ৪জন বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার কাজ করতো। আর বাকীরা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্লু¬টুথ’র মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিতো। আর গোটা পরিকল্পনার মূল নিয়ন্ত্রণকারী হচ্ছেন রেজাউল করিম বাপ্পি।