ফরিদপুরের সড়কে পাঁচ ঘণ্টায় প্রাণ গেল ১১ জনের

ফরিদপুরের সড়কে পাঁচ ঘণ্টায় প্রাণ গেল ১১ জনের

ফরিদপুরে তিনটি পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আজ দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ধুলদী বাজার এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত হন আটজন। আহত হন ২০ জন। একই সময় নগরকান্দা উপজেলার তালমা মোড়ে আর কে ট্রাভেলস পরিবহনের একটি বাসের চাপায় এক মা ও তাঁর ছেলে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে মাহেন্দ্রর পাঁচ যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার নূর আলম দুলাল জানান, সদর উপজেলার ধুলদী বাজার এলাকায় যাত্রীবাহী কমফোর্ট লাইন পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে ধুলদী সেতুর রেলিং ভেঙে বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারীসহ ছয়জন নিহত হয়। এ সময় আহত হন কমপক্ষে ২০ যাত্রী। পরে তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মারা যান আরো দুজন। দুর্ঘটনার পরে ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ চালিয়ে হতাহতদের বাস থেকে বের করেন। নিহতদের মধ্যে বাসের সুপারভাইজার রয়েছেন। তাঁর নাম মো. হানিফ। বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার হাতিয়ারা গ্রামে। বাকি নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। নগরকান্দা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার তালমা মোড়ে আর কে ট্রাভেলস পরিবহনের একটি লোকাল বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী নগরকান্দা উপজেলার রেশমা বেগম (৩২) ও তাঁর ছেলে রনিকে (১২) চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। এ ছাড়া এ সময় বাসটি আরেকটি মাহেন্দ্রকে চাপা দিলে মাহেন্দ্রর পাঁচ যাত্রী আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এ ছাড়া আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কোমরপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এরশাদ মোল্যা (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত এরশাদ শহরের রঘুনন্দনপুর এলাকার ওয়াজেদ মোল্যার ছেলে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম নাসিম জানান, আজ সন্ধ্যার দিকে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলের চালক এরশাদকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পরে স্থানীয়রা লাশটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান।
খুলনায় প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ পূর্ববর্তী

খুলনায় প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ

শ্লীলতাহানিতে বাধা দেয়ায় মামা খুন, গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত পরবর্তী

শ্লীলতাহানিতে বাধা দেয়ায় মামা খুন, গণপিটুনিতে ঘাতক নিহত

কমেন্ট