ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক সম্পর্কে যা বললেন অর্থমন্ত্রী

ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক সম্পর্কে যা বললেন অর্থমন্ত্রী

ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনকে (আরসিবিসি) দুনিয়া থেকে ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দিতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে যে ৮ কোটি ডলারের বেশি অর্থ চুরি হয় তা চলে যায় এই রিজাল ব্যাংকে। চুরি হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্যাংকটি প্রথমে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও পরে তা প্রত্যাখ্যান করে। সর্বশেষ ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলা হয়, এ ব্যাপারে তাদের কোনো দায় নেই এবং তারা কোনো ক্ষতিপূরণও দিতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের গাফিলতির কারণেই ওই অর্থ চুরির ঘটনা ঘটে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে এম এ মুহিত সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ফিলিপাইনের ওই ব্যাংকটি ‘নিশ্চিহ্ন’ করে দিতে চান। শুক্রবার রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ব্যাপারে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। রয়টার্সের শুক্রবারের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্কের রিজার্ভ ব্যাংক এবং অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফটের সহযোগিতায় রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার কথা ভাবছে। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সিদ্ধান্ত (মামলা করার ব্যাপারে) নিয়েছে। তারা আমাকে বিষয়টি জানাবে। তবে যেহেতু ফিলিপাইন সরকার বিষয়টি দেখছে (চুরির ব্যাপারে তদন্ত), সেহেতু আমরা আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।’ ‘তবে রিজাল ব্যাংক মনে হয় কুকর্মের সঙ্গে জড়িত। আমরা রিজাল ব্যাংককে দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই।’ এ ব্যাপারে এম এ মুহিত বিস্তারিত কিছু বলেননি। তাছাড়া বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলেও তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। এদিকে, রোববার অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আরসিবিসির পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে অজ্ঞাত হ্যাকাররা নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে আট কোটি ডলারের বেশি অর্থ সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়। যা ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাভিত্তিক রিজল কর্মাশিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এরপর সে অর্থ দেশটির ক্যাসিনোতে চলে যায়। এ ঘটনার এক মাস পর বিষয়টি জানতে পারে বাংলাদেশ। তাও ফিলিপাইনের একটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে আরসিবিসির সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু ব্যাংকটি এ ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে। প্রসঙ্গত, মার্কিন কিছু কর্মকর্তা এর আগে বলেন, হ্যাকিং গ্রুপ লাজারাস বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ চুরির, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার হ্যাকিং’ সঙ্গে জড়িত, যাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ ঘটনায় পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলেন ওই কর্মকর্তারা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।
বিদেশ থেকে আসার সময় এখন সর্ব্বোচ ৮টি মোবাইল আনা যাবে পূর্ববর্তী

বিদেশ থেকে আসার সময় এখন সর্ব্বোচ ৮টি মোবাইল আনা যাবে

নারায়ণগঞ্জে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আগুন, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু পরবর্তী

নারায়ণগঞ্জে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আগুন, নিরাপত্তা কর্মীর মৃত্যু

কমেন্ট