বগলে ব্যথার ৬ কারণ

বগলে ব্যথার ৬ কারণ

ক্যানসার হয়েছে? বগলে ব্যথা হলে আপনার মনে এ ভয়ঙ্কর দুশ্চিন্তা ভর করতে পারে। কারণ আপনি ইতোমধ্যে ইন্টারনেট বা পত্রিকার স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখা থেকে জেনেছেন যে, কিছু ক্যানসারে বগলে ব্যথা অনুভূত হয়। হ্যাঁ, বগলে ব্যথা হলো কতিপয় ক্যানসারের অন্যতম উপসর্গ, কিন্তু আপনাকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে এ স্থানের বেশিরভাগ ব্যথাই সাধারণ কারণে হয়ে থাকে। তাই বগলে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে ক্যানসার হয়েছে মনে করে বিবর্ণ হবেন না, আগে বোঝার চেষ্টা করুন যে সাধারণ কারণে এ অনুভূতি হচ্ছে কিনা। নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এ প্রতিবেদনে বগলে ব্যথার ৬ সাধারণ কারণ উল্লেখ করা হলো। লসিকাগ্রন্থিতে সংক্রমণ বা প্রদাহ: আপনার বগলে ব্যথার সঙ্গে ছোট পিণ্ড থাকলে এটা একটি লক্ষণ হতে পারে যে সেখানে সংক্রমণ বা প্রদাহ হয়েছে। আলাবামা রিজিয়নে অবস্থিত আমেরিকান ফ্যামিলি কেয়ারের মেডিক্যাল ডিরেক্টর জেরেমি অ্যালেন বলেন, ‘আপনার লসিকাগ্রন্থিগুলোর অবস্থান বাহু ও ঘাড়ের নিচে। সেগুলোতে প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে তারা বড় হয়ে যায় ও ব্যথা অনুভূত হয়। তারা এমন জায়গায় অবস্থিত যে কোনো সমস্যা হলে লক্ষণগুলো সহজে ধরা পড়ে। শরীরে ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস জনিত সংক্রমণে লসিকাগ্রন্থিগুলো ফুলে যেতে পারে ও ব্যথা অনুভূত পারে।’ এটাও স্মরণে রাখতে হবে যে লসিকাগ্রন্থির ফোলা কিছু ক্যানসারের লক্ষণও হতে পারে। তাই আপনার এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসক দ্বারা মূল্যায়নের সুপারিশ করা হচ্ছে। অ্যালার্জি: স্কিন অ্যালার্জি থেকে আপনার বগলে র‌্যাশ ওঠতে পারে অথবা জ্বালাপোড়ার অনুভূতি হতে পারে। কিছু সাবান, ডিওডোরেন্ট বা দুর্গন্ধনাশক পদার্থ, অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট বা ঘাম প্রতিরোধক পদার্থ ও কাপড়ের উপকরণ আপনার ত্বককে উক্ত্যক্ত করতে পারে। আপনার চিকিৎসক বগলে একটি অ্যালার্জি টেস্ট করে র‌্যাশ অথবা জ্বালাপোড়ার সঠিক কারণ শনাক্ত করতে পারেন। ডা. অ্যালেন বলেন, ‘দুশ্চিন্তা করবেন না, আপনার ত্বক সহ্য করতে পারে এমন বিকল্প সাবান, দুর্গন্ধনাশক পদার্থ ও ঘাম প্রতিরোধক পদার্থও রয়েছে।’ ঘামগ্রন্থি বা লোমগ্রন্থিতে সংক্রমণ: বগলে ব্যথার পাশাপাশি পিণ্ড বা ফোলা, লাল দাগ ও চুলকানি থাকলে সম্ভবত আপনার ঘামগ্রন্থি বা লোমগ্রন্থিতে সংক্রমণ হয়েছে, বলেন ডা. অ্যালেন। ঘামগ্রন্থিতে সংক্রমণের উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা, বগলে দীর্ঘসময় উষ্ণ ও স্যাঁতসেঁতে অবস্থা ও অত্যধিক ঘাম নিঃসরণ। আপনি নিয়মিত গোসল অথবা ঘেমে যাওয়ার পর পোশাক পরিবর্তন করে এ ধরনের ইরিটেশন এড়াতে পারেন। ডা. অ্যালেন বলেন, ‘কোনো সংক্রমণ হলে বগলে বাতাসের সংস্পর্শ নিশ্চিত করতে খুব ঢিলা ও বাতাস ঢুকতে পারে এমন পোশাক পরুন। সংক্রমিত স্থান থেকে ব্যাকটেরিয়া, মৃতকোষ ও অতিরিক্ত চর্মতেল দূর করতে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।’ মাংসপেশিতে টান: পেক্টোরাল, ট্রাইসেপস অথবা ল্যাটিসিমাস ডোরসি মাংসপেশিতে খুব টান পড়লে অথবা অতিরিক্ত টানে এসব মাংসপেশি ছিঁড়ে গেলে আপনার বগলে তীব্র ব্যথা হতে পারে। বগলের নিজের কোনো নির্দিষ্ট মাংসপেশি না থাকলেও আশপাশের মাংসপেশির ব্যথা এ জায়গায়ও ছড়াতে পারে, বলেন ডা. অ্যালেন। বিশ্রাম নিলে এ ব্যথা দূর হয়ে যাবে। এসময় ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আইবুপ্রোফেন সেবন করতে পারেন। মাসিকের ব্যথা: স্তনের টিস্যু বগল পর্যন্ত ছড়ায়। তাই মাসিক চক্রের সময় আপনার স্তন সেনসিটিভ হলে এটি বগলকেও প্রভাবিত করতে পারে, অর্থাৎ স্তনের ব্যথা বগলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। রেজার বার্ন: শেভিং হলো বগলে অস্বস্তিকর অনুভূতি বা জ্বালাপোড়ার আরেকটি কারণ। শেভিং থেকে সৃষ্ট এ অনুভূতিকে রেজার বার্ন বলা হয়। শেভিংয়ের সময় ত্বককে ভালোভাবে পিচ্ছিল করা না হলে রেজার বার্ন হয়। এছাড়া ত্বকের গঠনও ভূমিকা পালন করে। ডা. অ্যালেন বলেন, ‘বগলে রেজার বার্নের প্রবণতা বেশি, কারণ এর পৃষ্ট অসমতল বা উঁচুনিচু ও ঢিলা। বগলের এ বৈশিষ্ট্যের কারণে সেখানে সব জায়গায় ভালোভাবে কন্ডিশনার/ক্রিম ব্যবহার করা ও রেজার দিয়ে সঠিক চাপ দেয়া যায় না।’ আপনার রেজার বার্ন হলে ত্বক পরিষ্কার রাখুন ও নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত পুনরায় শেভিং থেকে বিরত থাকুন।
বউ যে নারীই নয়, তিনি ১৫ দিনেও ধরতে পারলেন না পূর্ববর্তী

বউ যে নারীই নয়, তিনি ১৫ দিনেও ধরতে পারলেন না

বয়স ৩০ হলে যেসব খাবার খাবেন না পরবর্তী

বয়স ৩০ হলে যেসব খাবার খাবেন না

কমেন্ট