থাইল্যান্ডের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই
বরখাস্ত হচ্ছেন গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশিদ জাহান
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে ৩১ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশিদ জাহান এবং ওই বিভাগের ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স জোসনা বেগমকে সাময়িক বরখাস্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক ডা. এস এম বাকির হোসেন।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হবে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে এসব মরদেহ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পাওয়া যায়। যার অধিকাংশই ছিল বোতলজাত। রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহগুলোর সুরতহাল শুরু করে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল মোদাচ্ছের আলী কবির জানান, রাতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশে সেন্ট্রাল পানির ট্যাঙ্কের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা অপসারণ করতে আসে।
মোদাচ্ছের কবির বলেন, অনেক মায়েদের ইনকমপ্লিট বাচ্চা জন্মায়। যা অনেক সময় পরিবারের লোকেরা নিয়ে যায়। আবার অনেকে ফেলে যায়। যা বাচ্চাগুলো রেখে যাওয়া হয় সেগুলো দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষার্থীদের ক্লিনিকাল ক্লাস নেওয়া হয়। পরে তা কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাটি চাপা দেওয়া হয়।
মোদাচ্ছের কবির আরো বলেন, কেন বাচ্চাগুলো মাটি চাপা না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলা হলো সে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে মৃতদেহগুলো কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্থানেই মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওয়ার্ড মোদাচ্ছের কবির।
অপরদিকে খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, প্রায় ২৫/৩০ বছর ধরে নবজাতকগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলো গবেষণা কাজে এখন ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই এগুলো মাটি চাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যারা মাটি চাপা না দিয়ে ডাস্টবিনে ফেলেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমেন্ট